করোনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এখন নাওয়াখাওয়া ভুলেছেন মানুষ। তাই অ্যাপ ইনস্টলে আরোগ্য লাভের পথ খুঁজতে চেয়েছেন। এমনটা কী আদৌ সম্ভব? আমরা টেক্সট পৌঁছে দিলাম তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের কাছে। দু বার দেখেই আইটি এক্সপার্টের সাফ কথা এগুলো ফেক।
advertisement
অ্যাপের ফাঁদে ফেলে তথ্য হাতানোর কৌশল। কী করে ফেক বলছেন? তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কিঞ্জল কান্তি ঘোষের বক্তব্য, "আঙুলের ছাপে এত কিছু সম্ভবই নয়। দুই অ্যাপটি নিয়ে হইচই হতেই তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চিনের তৈরি অ্যাপটি ভারত সরকারের সর্বশেষ নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় ছিল। তাই এখন আর অস্তিত্ব নেই। তবে ইতিমধ্যে যাঁরা ডাউনলোড করে ফেলেছেন, তাঁরা এখনও দেখতে পাবেন তবে এর কোনও তথ্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। মানুষের মোবাইলে তথ্য হাতানোই অ্যাপ গুলির লক্ষ্য। "
১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেওয়া অ্যাপের বিষয়টি মানুষ ঠকানো ছাড়া কিছু নয় বলছেন চিকিৎসকরাও। এসএসকেএম হাসপাতালের প্রফেসর চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিকের কথায়, 'আঙুলের ছাপ স্ক্যান করিয়ে কিছুটা হৃৎস্পন্দন বোঝা সম্ভব। তবে এই পালসও নিখুঁত হয় না। এছাড়া আর কোনও কিছুই আঙুল ছাপ দিয়ে করা সম্ভব নয়। অক্সিমিটার যন্ত্র কাজ করে নখের মধ্যেকার রক্তের ওপর বিশেষ রে প্রয়োগ করে। এই অ্যাপ-এ রে প্রয়োগের সেই সুবিধা কোথায়! ফুসফুস, চোখ, রেসপিরেটরি ক্ষমতা বোঝা অ্যাপ-এর দ্বারা নির্ণয় করা একেবারে অসম্ভব। এই ধরনের এসএমএস, অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকুন। কোনও এসএমএস পাওয়ার পর তা ফরোয়ার্ড না করে তার বৈধতা যাচাই করুন।'
আপাতত অ্যাপটি ইনস্টল করা না গেলেও, অ্যাপ সংক্রান্ত মেসেজটি এখনও ছড়িয়ে পড়ছে। আপনার মোবাইলের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এই ধরনের মেসেজ এড়িয়ে যান৷তা না হলে বিপদ আপনার আঙুলের ছোঁয়ায় করোনা ভাইরাসের থেকেও দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়বে।
ARNAB HAZRA