যত দিন যাচ্ছে ততই ঘর থেকে বেরোনোর প্রবণতা বাড়ছে বর্ধমানের বাসিন্দাদের। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাসিন্দাদের গৃহবন্দি রাখতে তৎপর প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে চলছে নজরদারি। শহরের ভেতরের অলিতে গলিতে চিত্রটি কেমন, তা বুঝতে ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে পুলিশ। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে যে অনেকে যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুদিখানা দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছেন, ঠিক তেমনই অনেকে রাস্তার মোড়ে বেরিয়ে জটলাও করছেন। ড্রোন তাঁদের উপর নজরদারি শুরু করতেই ছুটে এলাকা ছাড়ছেন সেই সব যুবকরা। সোমবার এমনই ছবি দেখা গিয়েছে বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়াম সংলগ্ন কালনা রোড এলাকায়।
advertisement
শনিবার থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় ড্রোনে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। খণ্ডঘোষের বাদুলিয়া গ্রামে দুই করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে। ফলে এলাকায় যথাযথভাবে লক ডাউন পালন করা হচ্ছে কিনা তা ড্রোন উড়িয়ে দেখা হয়। ড্রোনের নজরদারির মাধ্যমে দেখা হয় সেহারা বাজারে জমায়েতের পরিস্থিতিও। রবিবার থেকে বর্ধমান শহরেও। ড্রোনে নজরদারি চলছে। অনেকে আবার মোবাইল ক্যামেরায় ড্রোনের ছবি তুলছেন।
জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, বর্ধমান শহর এলাকায় এদিন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ মেলেনি। তবু ঘন বসতিপূর্ণ এই এলাকার প্রতি বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের অহেতুক ঘরের বাইরে পা দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দারা রাস্তায় বেরোলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রবিবার বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট ও তার আশপাশ এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি ড্রোনের সাহায্যে দেখা হয়। সোমবারও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও তার আশপাশ এলাকায় ড্রোনে নজরদারি চলে। বাজার এলাকাগুলিতেও ড্রোনে নজরদারি চলবে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কিনা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ড্রোন উড়িয়ে দেখা হবে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতিও। বাসিন্দারা মাস্ক পড়ছেন কিনা, কোন এলাকায় বাসিন্দাদের ভিড় বেশি তা দেখে সেখানে টহল দেবে পুলিশ।
Saradindu Ghosh