করোনা আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত করতে শহর ও গ্রামে বাড়ি বাড়ি নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। সেই কাজে গতি আনতে পুরসভাগুলিকে কয়েক দিন আগেই নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে বর্ধমান পৌরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিত কুমার গুহ বলেন, জোর কদমেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ চলছে। প্রতি বাড়িতে গিয়েই কুশল সংবাদ জানতে চাইছেন দায়িত্ব প্রাপ্তরা। বয়স্ক ও শিশুদের শারীরিক অবস্থার আলাদা করে খোঁজ নিচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
তবে শহরের বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন, এখনও তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে কাউকে আসতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশংকা বেশি এমন এলাকাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বস্তি এলাকা যেখানে এখনও বাসিন্দারা স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যপারে তেমন সচেতন নন, মাস্কে মুখ ঢাকছেন না সেই সব এলাকায় বেশি করে যাচ্ছেন পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। সেইসব এলাকায় কারও জ্বর হলে তাঁকে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যান্য এলাকাতেও খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছবেন তাঁরা।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,জেলার সর্বত্র সব বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। বর্ধমান ছাড়াও কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, গুসকরা, মেমারি পুরসভাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ব্লকের তত্ত্বাবধানে সেই কাজ চলছে।
Saradindu Ghosh