সূত্রের খবর, রাজাজি টাইগার রিজার্ভে ছ'টি হাতি রয়েছে। সেই ছ'জনের মধ্যে ছোট্ট সুলতান সহ আরও দু'টি হাতি দিন কয়েক ধরে অসুস্থ। কী হয়েছে অনুসন্ধানে গিয়ে চিকিৎসকরা দেখেন সুলতানের চোখ দিয়ে ক্রমাহত জল পড়ছে। এমনকি তাঁর মুখেও ঘা'য়ের মত কিছু হয়েছে। তবে কি করোনায় আক্রান্ত হাতিও! এখন সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে বন কর্তাদের।
advertisement
হরিদ্বারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে শনিবার হাতির বিষয়টি জানান হয়। এরপরেই স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল সেখানে গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং গোটা এলাকা সাফাই করে জীবাণুনাশক দেওয়ার কাজ চলছে। এদিকে, বন দফতরের তরফ থেকে অন্যান্য জন্তুদের গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হাতি তিনটিকে দেখার জন্য সর্বক্ষণের একজন বনকর্মী নিয়োগ করেছে রিজার্ভ ফরেস্ট কর্তৃপক্ষ।
রাজাজি টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা অমিত ভার্মা এ প্রসঙ্গে জানান, "হাতি তিনটির শরীরে পক্স হলে সাধারণত যে উপসর্গ দেখা যায়, সে ধরনের উপসর্গ ছিল। যদিও তা একপ্রকার ভাইরাল ইনফেকশন। তাও কোনওরকম দেরী না করে হাতিটির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। রিপোর্ট এলে তবেই আদৌ কী হয়েছে, তা জানা যাবে। তবে এই ঘটনার পড়েই অন্যান্য হাতিগুলির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা একেবারে সুস্থ।"
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হরিদ্বারের কাছে একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয় সুস্থ হয়ে। তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠান হয়েছে। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা চলছে। এদিকে, এপ্রিলের শুরুতেই নিউ ইয়র্কের একটি চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে হানা দেয় করোনা ভাইরাস। তার আগে বিড়ালের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। শুধু একটি বাঘ নয়। নিউ ইয়র্কের ওই চিড়িয়াখানায় একাধিক বাঘের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার এগ্রিকালচার বিভাগের ভেটেনারি সার্ভিস ল্যাবরেটরি। তারপর বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই চিড়িয়াখানা। যদিও তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ দেশের প্রতিটি চিড়িয়াখানা, রিজার্ভ ফরেস্ট, স্যানচুয়ারিতে অ্যাডভাইসারি পাঠান হয়।