কেজরিওয়াল তাঁর পোস্টে জানান, ইতিমধ্যেই ৬০০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার আমদানি করা হয়েছে আগামী দিনের কথা মাথায় রেখে। যা দিয়ে অক্সিজেন সমেত প্রায় ৩০০০ শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর জন্য এইচ সি এল ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে তাঁর ট্যুইটার পোস্টে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তৃতীয় ঢেউ এর ধাক্কা থেকে দিল্লিকে বাঁচাতে আরও একগুচ্ছ প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি প্রশাসন।
advertisement
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই করোনা সংক্রমণের প্রথমসারিতে ছিল দিল্লি। অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট, বেডের অভাব, মৃত্যুমিছিলের ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছিল রাজধানী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ কার্যত ধুঁকছিল দিল্লি। রাজধানীর এই বেলাগাম সংক্রমণ থামাতেই লকডাউনের পথে হেঁটেছিল কেজরিওয়াল সরকার। এরপর দফায় দফায় বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। আর এতেই কিছুটা ইতিবাচক কাজ হয়েছে বলেই মনে করছে দিল্লির সরকার। রবিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৩১ মে পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন পর্ব। যদি ধীরে ধীরে দৈনিক সংক্রমণের হার কমতে থাকলে ৩১ মে-র পর থেকেই শুরু হবে আনলক পর্ব।
এদিকে, ভ্যাকাসিনের অভাবে দিল্লিতে থমকে রয়েছে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ। বাজার থেকে যে কিনবেন তারও উপায় নেই। বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার সংবাদমাধ্যমে কেজরিওয়াল জানান, মার্কিন ফার্মা কোম্পানি Pfizer ও Moderna সঙ্গে ভ্যাকসিন কেনার জন্য কথা হয়েছিল। কিন্তু তারা সরাসরি দিল্লিকে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে রাজী নয়। কেজরির দাবি, ওই দুই মার্কিন কোম্পানি জানিয়েছে, তারা ভ্যাকসিন বিক্রির ব্যাপারে সরাসরি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবে। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনে তা রাজ্যগুলিকে দিক। কেজরি এদিন বলেন, দিল্লি শহরে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দিতে গেলে চাই মাসে ৮০ লাখ টিকা। কিন্তু মে মাসের জন্য মাত্র ১৬ লাখ ও জুনের জন্য ৮ লাখ টিকা দিয়েছে কেন্দ্র।