মূলত উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের জেলাগুলি থেকে প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ের নম্বর ও উত্তরপত্র সংগ্রহের কাজ বেশিরভাগই শেষ করে ফেলেছে পর্ষদ। মূলত কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা বাছাই করে সেই জায়গাগুলি থেকে গাড়ি পাঠিয়ে প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে উত্তরপত্র ও নম্বর সংগ্রহের কাজ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চারটি জেলায় স্থানীয় জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল পর্ষদের তরফে। পাশাপাশি বাকি জেলাগুলির প্রধান পরীক্ষকদের থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কত উত্তরপত্র ও নম্বর জমা পড়েছে ।
advertisement
লকডাউন উঠলেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ফলপ্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল পর্ষদ। এবার তারই প্রস্তুতিপর্ব শুরু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সাধারণত মে মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়ে যায়। কিন্তু করোনার প্রকোপ ও লকডাউন এবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সময়সীমাকে একেবারে ওলটপালট করে দিয়েছে । প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় সীমা ধরে প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে উত্তর পত্র সংগ্রহের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু রবিবার থেকে ফল প্রকাশের তোড়জোড়ের প্রথম ধাপ এগোল পর্ষদ। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের করোনা প্রকোপ থেকে মুক্ত চারটি গ্রিন জোন জেলা থেকে রবিবার উত্তরপত্র সংগ্রহের কাজ অনেকটাই করে ফেলেছে পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, একই রকম ভাবে এবার রাজ্যের অরেঞ্জ জোন মধ্যে থাকা জেলাগুলি থেকেও একইভাবে উত্তরপত্র সংগ্রহের কাজ শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে এক্ষেত্রে দুই মেদিনীপুর থেকে আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্যায়ে উত্তরপত্র সংগ্রহের কাজ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে রেড জোন বা কন্টেনমেন্ট জোন গুলো থেকে কিভাবে উত্তরপত্র সংগ্রহ করা যাবে তা অবশ্য ভাবাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। তবে উত্তর পত্র সংগ্রহ করা হলেও তা যেন সোশ্যাল ডিসটেন্স সহ সব বিধি মেনে করা হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ জেলা আধিকারিকদের দিয়েছে পর্ষদ।
উল্লেখযোগ্য, গত ১৮ ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। তবে উত্তর পত্র প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে সংগ্রহের বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
Somraj Bandopadhyay