TRENDING:

উপসর্গ না থাকলে পরিযায়ী শ্রমিকদের হবে না নমুনা পরীক্ষা, থাকতে হবে না আইসোলেশনে

Last Updated:

এবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে বাছাই করে। বাইরের রাজ্য থেকে এলেই আর নমুনা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র উপসর্গ রয়েছে এমন পুরুষ মহিলাদেরই বাছাই করে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Saradindu Ghosh
advertisement

#পূর্ব বর্ধমান: বাইরের রাজ্য থেকে এলেই তাঁদের আর নমুনা পরীক্ষা করা হবে না। করোনার উপসর্গ না থাকলে তাঁদের থাকতে হবে না কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ট্রেন থেকে নেমে প্রশাসনের দেওয়া বাসে সরাসরি বাড়ি চলে যেতে পারবেন তাঁরা। বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের জন্য এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তবে যাঁদের দেহে করোনার উপসর্গ থাকবে তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, যাঁরা গুরুতর অসুস্থ তাঁদের লালারসের নমুনা আলাদা আলাদা ভাবে পরীক্ষা করা হবে। যাঁরা শুধুমাত্র করোনার উপসর্গ নিয়ে আসছেন বা সামান্য ঠান্ডা লাগা নিয়ে আসছেন তাঁদের নমুনা একত্রিত করে পরীক্ষা করা হবে।

advertisement

এমনিতেই পরীক্ষা না হওয়া নমুনার পাহাড় জমেছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সে সব  নমুনা নিয়ে নাজেহাল অবস্থা জেলা প্রশাসনের। এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা না হয়ে পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে আর জি কর হাসপাতালে পড়ে রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি নমুনা। সেইসব নমুনার রিপোর্ট আর আসবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের মধ্যেই । জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আর জি কর হাসপাতালে আর নমুনা পাঠানো হবে না। বর্ধমান মেডিকেল কলেজেই যাবতীয় পরীক্ষা করানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

advertisement

তাই এবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে বাছাই করে। বাইরের রাজ্য থেকে এলেই আর নমুনা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র উপসর্গ রয়েছে এমন পুরুষ মহিলাদেরই বাছাই করে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। বাকিদের আর সে পরীক্ষার সামনে আসতে হবে না। তবে জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। কারন পজিটিভ রিপোর্ট আসছে এমন অনেকের দেহে কোনও উপসর্গ থাকছে না । তাই সকলের নমুনা পরীক্ষা না হলে আক্রান্ত অনেককেই চিহ্নিত করা যাবে না । তাঁরা আবার নিজেদের এলাকায় গিয়ে অনেকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে ফেলবেন এমন আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

advertisement

জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, এতদিন প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনেককে তুলে এনে এনেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার ফলে দিনে তেরশো চোদ্দশো নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। সেখানে সর্বোচ্চ ছশো সাতশোর বেশি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তার ফলে অনেক নমুনা পরীক্ষাই বাকি থেকে যাচ্ছে। এবার বাছাই করে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সেই সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
উপসর্গ না থাকলে পরিযায়ী শ্রমিকদের হবে না নমুনা পরীক্ষা, থাকতে হবে না আইসোলেশনে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল