এরই সঙ্গে কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে সমস্ত চিকিৎসকেরা করোনায় মৃতের শংসাপত্রে করোনা উল্লেখ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে সরকার। এতদিন পর্যন্ত একমাত্র হাসপাতালে করোনায় মৃতদের শংসাপত্রেই করোনায় মৃত বলে উল্লেখ করা হচ্ছিল। বাড়িতে, কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে, বা হাসপাতালের কোরিডোরে শুয়ে যাঁরা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের কোনও নাম করোয়া মৃতদের তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়নি। যার জেরেই দেশজুড়ে করোনায় মৃতদের হিসেবে বিরাট বড় অসামঞ্জস্য দেখা দিচ্ছে।
advertisement
বিশেষ করে দেশের মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটকা ও দিল্লিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ও আসল পরিস্থিতিতে অমিল রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি তথ্যে দেখা গিয়েছে, এই ৫ রাজ্যেই শুধু করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪.৮ লক্ষ। গতকাল বিহারে প্রকাশিত একটি তথ্যে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে প্রায় ৭৫,০০০ মৃতের শংসাপত্রে কী কারণে মৃত্যু তা উল্লেখ করা হয়নি। বিহারের সরকারি হিসেব থেকে এই মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দশগুণ বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে এদিন এফিডেভিডে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, প্রত্যেক পরিবারকে সাহায্য করার সামর্থ্য সরকারের নেই। কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, শুধুমাত্র কোভিডের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য দিয়ে অন্য রোগের ক্ষেত্রে না দেওয়া হলে তা অন্যায় হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সুপ্রিম কোর্টে ১৮৩ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াবে। আর গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উপর মারাত্মক আর্থিক চাপ রয়েছে। এই আর্থিক চাপের মধ্যে দেশের সকল কোভিড মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া সম্ভব নয়।
