মখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত আমজনতাও। ছেলে ঘুরেছেন এখানে ওখানে। বাবা গিয়েছেন কৃষ্ণনগরের হাসপাতালে। আর মা নবান্নে। সব জানাজানি হওয়ার পর ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের। স্যানিটাইজ করতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরকে। গৃহ পর্যবেক্ষণে যেতে হয়েছে সস্ত্রীক স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই আমলা মহাকরণে যাওয়ায় সেখানেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এসবে বিরক্ত সাধারণ মানুষ। বিলেত ফেরত তরুণ এখন বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি। তাঁর বাবা-মা ও গাড়ির চালকের প্রথম দফার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁদের রাখা হয়েছে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ওই পরিবারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ঝড়। ওই তরুণের সংস্পর্শে আসায় বুধবার বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি করা হয় এমআর বাঙুরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে। আর বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের দুই শুল্ক আধিকারিককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দরে তাঁরাই ওই তরুণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ওই তরুণ কারও মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়াননি তো? আশঙ্কায় কলকাতা। আতঙ্কে রাজ্য।
advertisement
শুক্রবার কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার এই আক্রান্ত তরুণও আগের আক্রান্তের মতোই লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন।
শোনা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে ফেরেন তরুণ। এরপরই নাইসেডে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। তারপরই বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়েছে করোনা আক্রান্ত ওই যুবককে। এরপরেই ওই আক্রান্ত যুবকের মা বাবাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, এ বিমানে আক্রান্ত যুবক দেশে ফিরেছেন, সেই বিমানের সহযাত্রীদের জন্যও সন্ধান চালাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সহযাত্রীদেরও এই কারণে আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লন্ডন থেকে ফেরার পরেও এই যুবকের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। পরে সর্দি কাশি শুরু হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাড়ির লোকেরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপরেই লালারসের নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হয় নাইসেডে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, যুবক করোনা পজিটিভ।