মানব দেহের জিনোম (human genomes) পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কারণ এর মধ্যেই বিবর্তিত তথ্য পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ৪২টি এমন জিনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যেগুলি করোনা ভাইরাস মহামারী আগে যখন হয়েছিল সেখান থেকে বিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়েছে। এই গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে- An ancient viral epidemic involving host coronavirus interacting genes more than 20,000 years ago in East Asia. কারেন্ট বায়োলজি নামে এক জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে।
advertisement
আগামীতে এই ভাইরাসের বিবর্তিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে মহামারী কী রূপ নিতে পারে সেই দিকে আলোকপাত করেছে এই গবেষণা। এছাড়াও গত ২০ বছর ধরে তিন রকমের করোনা ভাইরাস- কোভিড ১৯ (COVID 19), সার্স (SARS) ও মার্স (MERS) মানবজাতিকে সংক্রমিত করতে অভিযোজিত হয়েছে। এই গবেষণার রিপোর্ট বলছে বাদুড় বা অন্য কোনও প্রাণী থেকে মানবদেহে এই তিন রকমের করোনা ভাইরাস এসেছে।
গবেষণা এও বলছে, স্বাস্থ্যপরিষেবার সুবিধা, টেস্ট, এবং কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি আর্থসামাজিক বিষয় এই মবামারী সংক্রান্ত তথ্যের উপরে প্রভাব ফেলেছে। তবে করোনার ওষুধের মান উন্নত করতে এই গবেষণা কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা এই গবেষণার একজন লেখক ইয়াসিন সোলিমি যে ৪২ টি জিন প্রাচীন কালের করোনা মহামারী থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে সেগুলিকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা আরও পরীক্ষা করলে কোভিড ১৯-এর ইমিউন রেসপন্স বুঝে ওষুধ প্রস্তুতে সাহায্য করবে।
