এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। একদিকে মেলা ক্রমেই জমে উঠছিল। অন্যদিকে সার্কাসের খেলা দেখিয়ে নিজেদের সারা বছরের জন্য না হলেও বেশ কয়েকমাসের জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে দিন গুজরানের জন্য নিজেদের আর্থিক ভান্ডার সঞ্চয় করছিল দলের সদস্যরা। মেলা শেষ হতেই চলে আসে করোনা সক্রমন রুখতে লক ডাউন। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা লক ডাউনের জেরে আটকে পড়া ১৩জন সার্কাসকর্মী না পারছেন জলপাইগুড়িতে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে। আবার না পারছেন নিজেদের আহারের সংস্থান করতে। মেলাতে খেলা দেখিয়ে যেটুকু অর্থ সংগ্রহ হয়েছিল। তা দিয়ে কোনওরকমে কয়েকদিন দিন গুজরান হলেও তারপর থেকে মহিলা ও মহিলা মিলিয়ে ১৩ জন সার্কাস কর্মীর অসহায়ভাবে দিন কাটছে।
advertisement
কখনও এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্যের উপর কিংবা শাসক দলের বিলি করা ত্রানের উপর। কিন্তু মোটের উপর বেশির ভাগ দিন তাঁরা অর্ধাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। সার্কাসকর্মীদের দাবি, জেলা প্রশাসন তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।