রোগীর নাম অনিল কুমার, তিনি জামুইয়ের বাসিন্দা। অস্ত্রোপচারের পর আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই করোনাভাইরাস (Coronavirus) থেকে সেরে উঠেছেন অনিল। তার পর যদিও শরীর পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারানো এবং মাথা ঝিমঝিম করার মতো অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। তার পরেই তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (IGIMS)-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাথায় সিটি স্ক্যান করতেই ধরা পড়ে অসুস্থতার আসল কারণ। মাথার ভিতর দেখা যায় ক্রিকেট বলের সাইজের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস
advertisement
রয়েছে।
ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (IGIMS)-এর মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ডক্টর মণীশ মণ্ডল জানিয়েছেন, নাক দিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অনিলের শরীরে ঢুকে মাথায় বাসা বেঁধে ফেলেছিল। তবে তখনও পর্যন্ত চোখে সংক্রমণ করেনি। ফলে অস্ত্রোপচারের সময় ৬০ বছরের রোগীর চোখে কোনও কিছু করতে হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর চোখ বের করে ফেলতে হয়। তবে এক্ষেত্রে বেঁচে গিয়েছেন অনিল কুমার।
বিহারে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি আতঙ্ক বাড়িয়েছে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও। এখনও পর্যন্ত ৫০০ রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মিলেছে। গত ২২ মে বিহারের রাজ্য সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে। বেশিরভাগ করোনা রোগী যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের শরীরেই মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং ডায়েবিটিক রোগীদেরই বেশি আক্রমণ করছে এই ফাঙ্গাস।