একেই বাবার মৃত্যুতে শোকে কাতর সকলে, তার মধ্যে এই খবরে যেন আরও ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা৷
ঘটনা নয়াদিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের৷ মইনুদ্দিন নামের দু’জনের মৃত্যুতে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় ভুলবশত অদল বদল করে ফেলে হাসপাতাল কর্মীরা৷ যার পরিণতি ভুগতে হয় পরিবারগুলিকেই৷
দিল্লির প্রতাপগঞ্জের কামালুদ্দিনের বাবা মইনুদ্দিনের কিডনির ডায়লিসিস চলছিল হাসপাতালে৷ সেখানে তাঁকে করোনা টেস্ট করার কথা জানানো হয়৷ সেই রাতেই কিডনির সমস্যায় মারা যান মইনুদ্দিন সাহেব৷
advertisement
অন্যদিকে আজিজ নামে এক ব্যক্তির দাদা, যার নামও মইনুদ্দিন, ভুলছিলেন রক্তচাপের সমস্যায়৷ ইসিজি করার সময় মারা যান একই হাসপাতালে৷ তারও করোনা টেস্ট হয়েছিল এবং জানা গিয়েছে যে তার শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ মিলেছে৷ এই দুই মইনুদ্দিনের দেহ একই সঙ্গে রাখা ছিল হাসপাতালের মর্গে৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যায়৷ একইভাবে মুখে থাকে না কোনও অভিব্যক্তি৷ তাই সব মুখই কেমন এক রকম লাগে, এমনই সাফাই দিয়েছেন হাসপাতালের এক কর্তা!
তাহলে কীভাবে মইনুদ্দিনের ছেলে জানতে পারেন যে বাবার দেহ বলে যাকে তিনি কবর দিয়েছেন, তিনি আদতে তাঁর বাবাই নন? দাদার দেহ মর্গে খুঁজতে গিয়েছিলেন আজিজ৷ প্রায় ২৫০টি দেহ খুঁজে দেখার পর তিনি জানান যে তাঁর দাদার দেহ মর্গে নেই৷ তখনই উঠে আসে অন্য মইনুদ্দিনের নাম৷ ডেকে পাঠানো হয় কামালুদ্দিনকে৷ তিনি এসে ছবি দেখতেই বুঝতে পারেন এই মহাভুল ঘটে গিয়েছে৷ পরে আবার বাবার সৎকার করেন তিনি৷