এরপর সেই প্রাণী নিজের বংশবৃদ্ধি করে প্রচুরহারে। এছাড়া স্থানীয় প্রজাতির ক্ষতি সাধনও করে। সবশেষে বিদেশি প্রাণীর মধ্যে থাকা প্যারাসাইট ও ভাইরাস স্থানীয় প্রজাতিকে আক্রমণ করে। ফলে স্থানীয় প্রজাতির অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়।
ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে বাবা, ‘দেখুন তো ওর পেটে…’, চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে হতবাক! এ কী…?
advertisement
বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তি অর্ধেন্দু বণিক জানান, \”দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা বহু এলাকায় দেখা দিচ্ছে। এই ধরনের ঘটনাকে বলা হয় ইনভেসিভ স্পিসিসের সমস্যা। বর্তমান সময়ে এক্সোটিক বা বিদেশি পোষ্য পোষা একটা চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই ধরনের বিদেশি প্রাণী পোষ্য হিসেবে বাড়িতে নিয়ে আসার পর যদি সমস্যা দেখা দেয়। তখন সেই পোষ্যকে স্থানীয় পরিবেশে ছেড়ে দেন সেই মানুষেরা। এতেই ঘটে বিপত্তি। কারণ, এই প্রাণী গুলি এই পরিবেশের জন্য নয়। তবে একবার এই পরিবেশে ঢুকে গেলে তখন তাঁরা এই পরিবেশে থাকা স্থানীয় প্রাণীদের সমস্যা তৈরি করে।\”
তিনি আরোও জানান, \”বর্তমানে সাকার মাউথ ক্যাটফিস (এক ধরনের মাছ) ও রেড-ইয়ার্ড স্লাইডার (এক ধরনের কচ্ছপ) এই দুটি এক্সোটিক প্রাণী। যেগুলি নিজেদের পরিবেশের বাইরেও বর্তমানে এই দেশের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। এবং প্রচুর হারে বংশবৃদ্ধি করে চলেছে। আর এতেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য কচ্ছপের প্রজাতি। আর এতেই বেড়ে ওঠেছে সমস্যা। তাই সরকারি ভাবে স্থানীয় প্রজাতি গুলিকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া এই দুটি প্রাণী বিক্রির ক্ষেত্রে শর্তাবলী ব্যবহার করা উচিত।\”
যদি দ্রুত এই ধরনের বিদেশি প্রজাতির অনুপ্রবেশ স্থানীয় পরিবেশে না আটকানো যায়। তবে সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে স্থানীয় পরিবেশে স্থানীয় প্রজাতি আর চোখেই পড়বে না। এতে পরিবেশের ভারসাম্য যেমনি বিঘ্নিত হবে, তেমনি বহু প্রজাতির বিলীন হয়ে যাওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে। তাই সরকারি ভাবে দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এই ধরনের বিদেশি প্রাণী বিক্রি কিংবা পোষার ক্ষেত্রে।
Sarthak Pandit