আরও পড়ুন Birbhum News : রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ আগুন! বাড়িতে হুলুস্থুল
১৮৮৯ সালের ১৪মে (বাংলা ১২৯৬ সনের ১লা জ্যৈষ্ঠ) এই কেশব আশ্রম স্থাপিত হয়। প্রাথমিক ভাবে ৪.৫ একর জমিতে এই পার্কটি থাকলেও ১৯৫২ ও ১৯৫৪ সালে বন্যায় তোর্সা ভাঙনের পর আর ভূমিক্ষয়ের ফলে ছোট হয়ে গিয়ে বর্তমানে এর পরিসীমা ২.১৭ একরে গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে এই রানি বাগান পার্কটির সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার বনদফতর। এছাড়া রাজ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিসৌধ এবং কেশব আশ্রমের সংরক্ষণের এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।
advertisement
রানী বাগানের ঠিকানা: Cooch Behar Rani Bagan, Patakura, Near Cooch Behar Torsha Dam, Cooch Behar, West Bengal, 736170
এই পার্কটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন মূল্য লাগে না। বিনামূল্যেই এখানে প্রবেশ করা সম্ভব। তবে বর্তমানে পার্কটির প্রচুর সমস্যা দেখা দিয়েছে। জঙ্গলেও আগাছায় ভরে গেছে পার্কের ভেতরের চত্বর। তার ফলে এলাকায় বেড়েছে সাপেদের উপদ্রব। এছাড়া সন্ধের অন্ধকার নামলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকার কারণে অন্ধকারে ডুবে থাকছে গোটা পার্ক। এলাকার স্থানীয় বাচ্চারা বিকেল হলে এই পার্কে খেলাধুলা করতে আসে। তবে জঙ্গল ও আগাছার কারণে বর্তমানে তারাও খুব একটা এখানে আসতে সাহস পায় না।
মাঝেমধ্যে পার্কের ভেতরে চত্বরে সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকাংশের বক্তব্য, "দ্রুতই পার্কটিতে সম্পূর্ণ রকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পুনরায় বাচ্চাদের খেলার উপযোগী করে তোলা হোক। এছাড়া পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে পার্কের পুরনো ঐতিহ্য পার্কটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।"তবে এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় চরম উদাসীনতা চোখে পড়ছে পার্কের বর্তমান অবস্থা থেকে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে কত দিনে কোচবিহারের একটি হেরিটেজ এই রানী বাগান পার্ক কোচবিহার জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় নিজের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পায়।
Sarthak Pandit