পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটিমাত্র প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়লে ২০ কিলোমিচার রাস্তা পেরিয়ে মাথাভাঙ্গা শহরে যেতে হয়। রাতবিরেতে তেমন পরিস্থিতি হলে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। সপ্তাহে একদিন জেনারেল ফিজিশিয়ান বসেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে। এছাড়া এখানে একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স ও একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রয়েছেন। সপ্তাহে একদিন চোখের চিকিৎসা করা হয়। মাসে একদিন করে মনোরোগের চিকিৎসক বসতে শুরু করেছেন কিছুদিন ধরে।
advertisement
বাকি দিনগুলিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালান নার্স ও ফার্মাসিস্টরাই। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগীর ভিড় হলেও তাদের জন্য বসার সঠিক ব্যবস্থা নেই। এমনকি পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থাটুকুও করা হয়নি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে। শৌচাগার থাকলেও তা একদমই ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে একাধিক জায়গায় ফাটল ধরে গিয়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে চুইয়ে জল পড়ে ঘরের ভেতর। জানলা এবং দরজার অবস্থাও তথৈবচ। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও প্রাচীরের কাজ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ন হয়নি।
আরও পড়ুনঃ বানেশ্বর শিব দিঘি থেকে আবার উদ্ধার অসুস্থ কচ্ছপ!
যতটুকু প্রাচীর আছে তাও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়ে রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের মধ্যে অবাধে গোরু-ছাগল চরে বেড়ায়। ভেঙ্গে গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল গেটের কাঠামোটি। তবে সমস্যার বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জানানো থাকলেও এই নিয়ে তাদের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষদের। মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা এই সকল সমস্যাগুলি দ্রুত স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ খোলা হয়নি কালী পুজোর তোরণ! যানজট সমস্যা মাথাভাঙ্গা হাসপাতালের সামনে
তবে এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লক হেলথ মেডিকেল অফিসার বিমল অধিকারীর জানিয়েছেন, "প্রশাসনিক কাজের ফাঁকেই তিনি অশোকবাড়িতে সপ্তাহে একদিন রোগী দেখছেন। চোখ ও মনোরোগের চিকিৎসারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিয়মিত ডাক্তার বসানোর বিষয়টি তাদের মাথায় রয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যার বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।" একদম রাজ্য সড়কের ধারেই অশোকবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবস্থান করলেও সম্পূর্ন জায়গাটি শুনসান থাকে বেশীরভাগ সময়। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পাশেই রয়েছে নদী। অদূরে দেখা যায় বাংলাদেশ সীমান্ত। স্থানীয় এক বাসিন্দা একরামুল হকের বক্তব্য, "এই এলাকার সমস্ত মানুষদের স্বার্থে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে নিয়মিত ডাক্তার বসানোর পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নয়নের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের শীঘ্রই নজর দেওয়া উচিত।"
Sarthak Pandit