প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গোপালপুর এলাকায় প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই হোমে কাটিয়ে আসা ওই মেয়েটির। ওই সময় একদিন গ্রামের একটি জঙ্গলে দুজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৃশ্য দেখে ফেলে গ্রামের কিছু মানুষ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কাদের প্রার্থী করা হবে? সাংগঠনিক বৈঠকে 'গুণাগুণ' নিয়ে নির্দেশ বনসলের
advertisement
আরও পড়ুন: বউবাজারে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি, ফর্ম জমার ১৫-৩০ দিনের মধ্যে মিলবে ক্ষতিপূরণ
তারপর গ্রাম্য সালিশিতে তাঁদের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করা হয়। কিন্তু ছেলে মেয়ে দুজনেরই তখন বয়স কম ছিল। তাই মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের দুই আধিকারিকের উপস্থিতিতে তাঁরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া না পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার জন্য সিধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরেও বিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে প্রশাসন খবর পাওয়ায় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে ওই নাবালিকা মেয়েটিকে ছেলের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। এরপর টানা ৭ বছর হোমে কাটাতে হয় তাঁকে।
সম্প্রতি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মেয়েটি হোম থেকে ছাড়া পায়। ছাড়া পেয়ে সোজা ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসে মেয়েটি। কিন্তু হোম থেকে ছাড়া পেয়ে এসে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছে জেনে মেয়েটির প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাই তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।
মেয়েটি এদিন ধর্নায় বসা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে জানায়, "একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাদের দুজনের মধ্যে। গ্রামের লোক সবাই সব কিছু জানে। আমার তো আর কোন উপায় নেই বর্তমানে। তাই বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসতে বাধ্য হয়েছি ছেলেটির বাড়িতে।’’
Sarthak Pandit