আলু চাষি অমূল্য সরকার অভিযোগ করেন, এই বছর বাজারে আলুর দাম খুব কম। এই অবস্থায় আলু বিক্রি করলে চাষের খরচ উঠবে না। তাই বেশিরভাগ চাষি হিমঘরে আলু রাখার পরিকল্পনা করেছে। তবে হিমঘর থেকে ৫০ টির বেশি আলুর বন্ড দেওয়া হচ্ছে না। অমূল্যবাবুর দাবি, এক এক জন চাষি কমপক্ষে ১০০০-১২০০ বস্তা আলু চাষ করেছেন। এক্ষেত্রে মাত্র ৫০ বস্তা আলুর বন্ড নিয়ে কীভাবে তাঁরা পরিস্থিতি সামলাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়বে তাপমাত্রা! আরও গরম দক্ষিণবঙ্গে, জানুন আবহাওয়ার আপডেট
কোচবিহারের চাষিদের অভিযোগ, হিমঘরগুলির বরাদ্দ করা ৫০ টি আলুর বন্ডও তাঁরা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। মাঝখান থেকে ফোড়েরা ঢুকে হিমঘরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাষিদের জন্য বরাদ্দ আলুর বন্ড কিনে নিচ্ছে। পরে সেই বন্ড ছড়া দামে চাষিদের কিনতে বাধ্য করছে। আলু চাষিদের অভিযোগ, হিমঘরের আলুর বন্ড নিয়ে কোচবিহার জেলাজুড়ে ব্যাপক কালোবাজারি চলছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন আলু চাষিরা। বর্তমানে কোচবিহারের প্রতিটি হিমঘরের বাইরে দেখা যাচ্ছে আলুর বস্তা নিয়ে চাষিদের লম্বা লাইন। সকলেই তাঁর আলু হিমঘরে রাখতে চান। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যায় বন্ড না পাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। এই নিয়ে চাষিদের ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় বস্তা ভর্তি আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।
সার্থক পণ্ডিত