এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। অনেক ছেলেমেয়ে এই সেতু দিয়ে নদী পেরিয়ে স্কুলটিতে পড়তে আসে। এই সেতুর কারণে তাদের নিয়ে সব সময় আশঙ্কায় থাকেন অভিভাবকরা। এই বিষয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক রিপুঞ্জয় দেব বলেন, "নাড়িয়ার কুঠি এলাকা থেকে লক্ষ্মীর বাজারে যাওয়ার সব চাইতে সহজ পথ এই বাঁশের সেতু। এই সেতুর দীর্ঘ সময় ধরে বেহাল দশা। একটা সময় এখান দিয়ে বাইক চলাচল করতে পারত। বর্তমানে এই পথে হেঁটে চলাচল করতেও ভয় পান এলাকার মানুষ। স্কুলের প্রচুর ক্ষুদে পড়ুয়া এবং মিড ডে মিলের রাঁধুনীরা এই পথেই স্কুলে আসে। বারবার সেতু সারানোর দাবি জানিয়েও ফল হয়নি। যেকোনও সময় এখানে বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারের কাছে আবেদন তাঁরা দ্রুত এই সেতু সংস্কারের কাজটি করুন।"
advertisement
আরও পড়ুন: চিংড়ি ভেরির নোনা জলে রাতারাতি চাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ল ১৫০ বিঘা জমি
এই সেতু সংস্কারের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান স্থানীয় পঞ্চায়েতের কর্তারা। তবে দিনের পর দিন এই চরম অবহেলা আর মেনে নিতে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা রীতিমত ক্ষুব্ধ। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভের সুরে বলেন, "এই সেতু দিয়েই চলাচল করে নদীর দুই পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তবুও সরকারিভাবে বিন্দুমাত্র নজর দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি অন্যান্য এলাকায় নানান কাজ করলেও এই কাজটি করা হচ্ছে না। দ্রুত এই কাজ করার বিষয়ে যদি তৎপর না হয় স্থানীয় প্রশাসনিক মহল। তবে আগামীতে বড়সড় আন্দোলনের পথে নামবেন এলাকার বাসিন্দারা।"
সার্থক পণ্ডিত