রেস্তরাঁর কর্ণধার তনুজিত গুহ জানান, একটা সময় তাঁরা শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি করতেন। তবে পুজোর আগে থেকে এই রেস্তরাঁ শুরু করেছেন তাঁরা। আরও অধিক পরিমাণে গ্রাহকের কাছে তাঁদের খাবারের স্বাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই রেস্তরাঁ খুলেছেন। তাই গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছেন বিশেষ আকর্ষণীয় অফার। তাঁদের এই রেস্তরাঁর মধ্যে ভেজ থালি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৯৫ টাকা মূল্যে। আর নন ভেজ থালির দাম শুরু হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে। তবে সব খাবারেই থাকছে একেবারে খাঁটি বাঙালি রান্নার স্বাদ। তবে রেস্তোরাঁর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে মেনুতে রাখা হয়েছে আচারি শুঁটকি, কচুপাতা ভাপা চিংড়ি ও গন্ধরাজ ভাপা মুরগি। এসবের দাম ও রয়েছে একেবারে সকলের নাগালের মধ্যে। দাবি কর্তৃপক্ষের।
advertisement
রেস্তরাঁয় আসা দুই গ্রাহক ঈশ্বর চক্রবর্তী ও অম্লান ঘোষ জানান, “কোচবিহার শহরের মধ্যে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সাবেকি বাঙালি খাবারের ভাল রেস্তরাঁ ছিল না। এই রেস্তরাঁ শুরুর পর সেই অভাব পূরণ হয়েছে। রেস্তরাঁর পরিবেশ সত্যিই খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। খাবারের মানও খুব ভাল এখানে। চিংড়ি থেকে শুরু করে ইলিশ, পাবদা, চিতল, কাতল, আড়, বোয়াল, ট্যাংরা, বোরোলি এছাড়াও রয়েছে পাঁঠা ও মুরগির মাংসের রকমারি পদ। এছাড়াও রয়েছে শুঁটকি মাছের পদ। তবে খাবারের শেষ পাতের জন্য রয়েছে গাজরের হালুয়া ও আমদই। তবে সব চাইতে বড় বিষয় হচ্ছে এখানে সমস্ত খবর পরিবেশন করা হচ্ছে একেবারে পরিবেশ বান্ধব সুপুরির খোল দিয়ে তৈরি প্লেটের মধ্যে।”