এলাকার বাসিন্দাদের এবং ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি দ্রুত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হোক এলাকাটি। যেভাবে কোচবিহারের বুকে ডেঙ্গির চোখ রাঙানি যেভাবে বেড়ে চলেছে। তাতে এই জমা আবর্জনা স্তুপ থেকে মশা, মাছি সমস্যা তৈরি হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ সরকার বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে এই জায়গাটি অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার ফলে রৌদ্র উঠলেই বাজে পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন জানিয়ে এসেছি কোচবিহার পৌরসভাকে। তবে এই জায়গা থেকে নোংরা ফেলার ডাস্টবিন কিংবা নোংরার আবর্জনার স্তুপ সঠিকভাবে কোনটাই পরিষ্কার করা হয়নি।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভরসা বাঁশের সাঁকোই! ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার শুনশুনি বাজার এলাকায়
স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রীতম পাল জানান, "এখানে আমাদের একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। তবে যেভাবে নোংরা আবর্জনা চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে তার ফলে গ্রাহকদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আমরা স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভাকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। সামান্য কিছু আবর্জনা এখান থেকে পরিষ্কার করা হলেও, এখনো অনেকটাই আবর্জনা এখানে জমে রয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন জায়গা থেকে আবর্জনাএখানে এনে ফেলা হচ্ছে।"
আরও পড়ুনঃ বন্দুক উচিয়ে চলল লুঠ! ঘুঘুমারি জামতলা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা
দুর্গাপুজোর আগেই প্রত্যেকটি জায়গায় যেভাবে চোখ রাঙানি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ডেঙ্গির। তারে জেরে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষেরা। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কোচবিহার পৌরসভা। তৎপরতার সাথে পরিষ্কার করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার জঙ্গল এবং নোংরা আবর্জনা। এছাড়াও নেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যাতে ডেঙ্গির প্রভাব কোচবিহারের বুকে সেরকম মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তারই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন কোচবিহার পৌরসভার পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
Sarthak Pandit