স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, "এদিন স্কুল চলাকালীন সময়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রেহান সরকার ও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ঋত্বিক সরকার। ঘটনাটি নজরে আসতেই স্কুলের শিক্ষকরা বিষয়টি মিটমাট করিয়ে দেন। এরই মধ্যে রেহান সরকার বিষয়টি ফোন মারফত বাড়িতে জানান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রেহানের বাবা মমিলুন সরকার ও কাকা রাকেশ সরকার স্কুলে ছুটে এসে শিক্ষকদের অগোচরে স্কুলের ক্লাসরুমে ঢুকে ঋত্বিক সরকারকে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে। সেখানে বাধা দিতে গেলে অষ্টম শ্রেণীর আরেক ছাত্র বিনয় রায়কেও মারধর করা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা। তারাই ওই অবিভাবকদের স্কুলে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।"
advertisement
গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান স্কুলের শিক্ষকরা। আহত দু'জনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঋত্বিককে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় পরবর্তী সময়ে। এবং অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছেন রেহানের বাবা মমিলুন সরকার। তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয়েছে শুনে তিনি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি। তাই এমনটা করে ফেলেছেন। কিন্তু পরে তিনি উপলব্ধি করেন কাজটা করা তার ঠিক হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক দত্ত ও পরিচালন কমিটির সভাপতি শংকরকুমার দাস জানান, "ওই দুই অভিভাবকদের বিরুদ্ধে হলদিবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত অভিভাবকদের পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। স্কুলের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ।"
Sarthak Pandit