এ বিষয় নিয়ে কোচবিহার জেলার কাবাডি কোচ রাজা রায় বলেন, "দীর্ঘ যত বছর থেকে কাবাডি খেলা চলছে ন্যাশনালে, এই প্রথম সেখানে কোন কোচবিহার থেকে মেয়ে সুযোগ পেল। শুধুমাত্র কোচবিহার থেকেই নয় গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে এই প্রথম কোন খেলোয়াড় ন্যাশনাল কাবাডি খেলল। মূলত এই কারণের জন্যই আমরা দারুণ খুশি।"
advertisement
গোটা উত্তরবঙ্গে তথা অন্যান্য রাজ্যগুলিতে যেভাবে কোচবিহারের খেলাধুলার নাম ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে সম্ভবত উজ্জ্বল হচ্ছে কোচবিহারের নাম। একটা সময় রাজার অধিকারে থাকা এই রাজ্যের খেলার নাম ছিল। এখান থেকে অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড়েরা খেলাধুলা করতেন। তবে তার পরবর্তী সময় ধীরে ধীরে কমে এসেছিল সেই নাম। তবে বর্তমান সময়ে কোচবিহারের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের নিজস্ব প্রচেষ্টায় এবং অনুশীলনে সেই নাম ফিরে আসতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন - Viral Video: ছিঃ ছিঃ করছেন নেটিজেনরা, চাপ নিতেই পারছেন না রোহিত, কানই দিলেন না অর্শদীপের কথায়
ন্যাশনালে খেলতে যাওয়া কাবাডি খেলোয়াড় মাম্পি রায় বলেন, "কোচের সহযোগিতাতেই আমরা এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। কোচ ছাড়া আমরা কিছুই না। তবে কোচবিহারে খেলাধুলার মান বাড়াতে হলে পরিকাঠামগত উন্নয়ন আরোও প্রয়োজন।" এছাড়া ন্যাশনাল খেলতে যাওয়া আরেক খেলোয়ার ববিতা দাস বলেন, "ন্যাশনাল খেলতে গিয়ে দারুন লাগছিল। এতদূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবো ভাবিনি। তবে কোচ আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। তার সহযোগিতা এবং অনুশীলন দুটি মিলিয়ে আমরা এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি।"
কোচবিহার জেলায় খেলাধুলার মান বাড়াতে হলে পরিকল্পনা কত উন্নয়নের দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত। যেভাবে বাইরে রাজ্যগুলিতে খেলোয়াড়েরা অনেক বেশি ভালো উন্নত মানের পরিকাঠামো পেয়ে থাকেন। ঠিক তেমনটাই যদি কোচবিহার জেলাতেও খেলোয়ারদের প্রদান করা হয়। তবে কোচবিহার জেলার নাম আরও অনেক উচুঁতে পৌঁছবে l
Sarthak Pandit





