তবে তার ফলে এই ফুটপাথ দখল কিছুটা কমানো সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ ভাবে এই বিষয়টি নিরাময় করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। এছাড়া কোচবিহার জেলা ট্রাফিক এর সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। অবৈধ পার্কিং নিয়ে কোন রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না, কিংবা কোন ভূমিকা দেখাচ্ছে না কোচবিহার জেলা ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়া কোচবিহার শহরের নিত্যদিনের যানজট রুখতে একপ্রকার অসমর্থ হয়ে রয়েছে ট্রাকিফ পুলিশ। এই বিষয়গুলি নিয়ে কোচবিহার ডিএসপি ট্রাফিক অফিসারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন রকম উত্তর দিতে অস্বীকার করে দেন।
advertisement
তবে পায়ে হাঁটার ফুটপাত দখল করে কিভাবে অস্থায়ী দোকান বসছে? কিংবা পার্কিং জোন থাকা সত্বেও কেনো রাস্তার ফুটপাথ জুড়ে অবৈধ পার্কিং বাড়ছে কেনো? এই বিষয়গুলি নিয়েই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয় সম্পর্কে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সেটার প্ল্যান ও রেডি হয়ে গিয়েছে। সেটা আমরা কোচবিহার জেলা পুলিশ এবং কোচবিহার পৌরসভার কাছে পাঠিয়েও দিয়েছি। সেই মতোই আমরা সচেতনতার সাথে কাজগুলি করব এবং কিছু দিনের মধ্যেই এই যাবতীয় সমস্যার অধিকাংশটাই সমাধান করা সম্ভব হবে আমি মনে করছি।"
কোচবিহার পৌরসভায় চেয়্যারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, "কোচবিহার শহরজুড়ে মাঝে মাঝেই আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকি। এবং সেই মত কাজ ও করা হয়ে থাকে। এছাড়া অবৈধ পার্কিং রুখতে কোচবিহার শহরে অনেক পার্কিং জোন করা হবে। সেগুলির কাজ ও শুরু করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চালু করাও হয়েছে।"তবে কোচবিহারের একাধিক বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তার পাশের ফুটপাথকে দ্রুত মানুষের চলাফেরা করার যোগ্য করে তুলতে হবে। এবং এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
সার্থক পন্ডিত