১৮৯৮ সালে স্থাপন হওয়া এই চার্চটি রয়েছে কোচবিহার জেলার কোচবিহার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায়। এই চার্চের দুই পাশে রয়েছে দৃষ্টিহীনদের বিদ্যালয় এবং ছাত্রাবাসের ক্যাম্পাস। এই বিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাস কেউ একই রকম ভাবে চার্চের মত সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বছর দু'বছরের করোনা পরিবেশ কাটিয়ে কোচবিহার জেলার মধ্যে বড়দিন বা ক্রিসমাস উদযাপন যথেষ্টই আনন্দের হয়ে উঠবে। চার্চের ক্যাম্পাসের মধ্যে খড়দিয়ে একটি ঘর বানানো হয়েছে।
advertisement
মূলত যীশুখ্রীষ্ট যেখানে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। সেই গোয়াল ঘরের আদলে। এবং সেখানে বিভিন্ন মূর্তির মাধ্যমে যীশুর জন্মের বিষয়টি দেখানো হয়েছে। এর মধ্যেরাত পেরোলেই ক্রিসমাস। ক্রিসমাসের দিনে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই ক্রিসমাসের আনন্দে মেতে ওঠেন। ক্রিসমাস ট্রি, ক্রিসমাস স্টার, ক্রিসমাস বল, বেলুন এবং অন্যান্য রকমারি সজনানোর জিনিস দিয়ে গোটা চার্চের চত্বর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বছর ক্রিসমাসের জন্য একটা আলাদা উদ্দীপনা কাজ করছে চার্চের সদস্যদের মধ্যেও।
তবে করোনা বিধি মেনে সকলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবে এই ক্রিসমাসের মধ্যে আনন্দ উপভোগ করুক এটাই আশা এই চার্চ কতৃপক্ষের। চার্চের পালক পরিতোষ সিংহ বলেন, "দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিসমাসের দিনে কোচবিহারের মানুষেরা এই চার্চের মধ্যে আসতে খুব পছন্দ করেন। তবে আমরা খুব খুশি এই চার্চের মধ্যে এত মানুষ ভিড় জমান বলে। আমরা আশা রাখছি এই বছরেও অনেক মানুষ আসবেন। তাই চার্চকে এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।"
Sarthak Pandit