এই চাষাবাদের পদ্ধতিও অতি সহজ। স্বল্প জায়গায় ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক লাভবান হতে এই চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণ করলে যেকোন কৃষকের চাষাবাদের খাটনি অনেকটাই কমে আসবে। জলসেচের খুব একটা বেশি প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়াও আগাছা চাষ জমিতে অনেকটাই কম জন্মাবে।
আরও পড়ুন: মার্চে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ১২ দিন, তারিখ জেনে নিয়ে মিটিয়ে নিন ব্যাঙ্কের কাজ
advertisement
বামনহাট এলাকার এক চাষী আবুমোতালেব মিঞা জানাচ্ছেন, "তিনি মালচিং পদ্ধতিতে তিন থেকে চার বছর যাবত চাষাবাদ করে আসছেন। এই পদ্ধতিতে চাষ করার মধ্য দিয়ে তিনি অনেকটাই আর্থিক লাভের মুখ দেখতে পেরেছেন। অন্যান্য চাষীদের এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই চাষ করলে অনেকটাই সুবিধা হবে। এই চাষের মাধ্যমে জলসেচ খুব একটা বেশি প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও চাষ জমিতে আগাছার পরিমাণও কম থাকে। ফার্টিলাইজার কিংবা কীটনাশক খুব একটা বেশি প্রয়োজন পড়ে না। তাই সব দিক থেকেই এই চাষের পদ্ধতি আর্থিকভাবে অনেকটাই লাভবান করে দিতে পারে কৃষককে। তাই সকল কৃষকের উচিত এই ধরনের চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বন করা। তবে তার আগে কৃষি দপ্তরের পরামর্শ নিতে হবে।"
আরও পড়ুন: ফের রদবদল জ্বালানি তেলের দামে! কলকাতায় আজ পেট্রোল ডিজেলের দাম কত হল দেখে নিন
এই মালচিং পদ্ধতি মূলত এক ধরনের বিশেষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে চাষের জমিতে এক ধরনের প্লাস্টিক কিংবা সবজির খোসা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র চাষ করা গাছের গোড়াগুলিকে ফাঁকা রাখা হয়। তারফলে চাষের জমির মধ্যে আর্দ্রতা সবসময় বজায় থাকে। সেই জন্য চাষের জমিতে জল সেচের খুব একটা বেশি প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়াও চাষের জমির মধ্যে আগাছার পরিমাণ খুব একটা বেশি জন্ম নিতে পারে না। এছাড়া এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করলে খরচ হয় তুলনামূলক অনেকটাই কম। সব সময় চাষের জমির উপর নজর দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। সব মিলিয়ে এই চাষাবাদ পদ্ধতি অনেকটাই সহজ এবং মুনাফাদায়ক।
Sarthak Pandit