পৃথিবীতে আড়াই হাজারের বেশী প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই পরাশ্রয়ী। তবে কিছু গ্রাউন্ড অর্কিডও আছে যা মাটিতে হতে পারে। যেসব অর্কিড অন্যান্য ফুলের মতো মাটিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে খাদ্য ও রস সংগ্রহ করে, তাদের পার্থিব অর্কিড বলে। এদের সুতোর মতো সরু গুচ্ছ মূল থাকে। যেমন- ফায়াস, সিমবিডিয়াম, লেডি স্লিপার ইতাাদি। ঠিক মতো যত্ন নিলেই ফুল ফুটবে। বর্তমানে অর্কিড চাষ হচ্ছে এবং এই চাষে কৃষকরা লাভবান হবে বিপুলভাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- শাহরুখকে খুনের হুমকি! পরিবারের ‘কাছের লোক’ চেয়েছিলেন মেরে ফেলতে, কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও
আরও পড়ুন- ‘ট্রিপে যা হয়েছিল…’, কীভাবে দীপঙ্করের কাছাকাছি এলেন দোলন, ফাঁস হতেই তোলপাড়!
অর্কিড ফুল মুলত যত্ন করলেই টবে ফুটবে এই ফুল। যে জায়গায় ছাদে সূর্যের রোদ ঢুকছে সেখানে অর্কিড গাছকে রাখতে হবে। ফুল ফোটে মূলত বছরে তিনবার। সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর ও মার্চ মাসে। প্রধানত, ছায়াযুক্ত সুনিষ্কাশিত কিন্তু স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে বা টবে চাষ করা যায় অর্কিড।সাধারণত, গাছের ফুল বা ফুল কাটার পর প্রতিটি গাছ থেকে পার্শ্বীয়ভাবে সাকার বের হয়। এই সাকারগুলি গাছে লাগানো অবস্থায় যখন শেকড় বের হয়, তখনই এগুলি গাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে মূল জমিতে বা টবের মাটিতে লাগানো হয়। এছাড়াও বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে কেটে ফেলা ফ্লাওয়ার স্টিকের ফুল শেষ হয়ে গেলে তা থেকেও চারা উৎপাদন করা যেতে পারে।
মূলত ফুল আসার সময় ফাল্গুন-চৈত্র মাস। অপর দিকে টিস্যু কালচার থেকে পাওয়া চারা থেকে ফুল পেতে কমপক্ষে আঠারো মাস সময় লাগে। বাণিজ্যিক চাষের ক্ষেত্রে স্টিকের এক বা দুটি ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কাটতে হবে। বাগানে বা টবে সৌখিন চাষের ক্ষেত্রে ফুল কাটার প্রয়োজন থাকে না, এ ক্ষেত্রে গাছে প্রায় ৩০-৪৫ দিন পর্যন্ত ফুল টিকে থাকে।
কৌশিক অধিকারী