পাইকারি মূল্য সূচকের (Wpi) ওপর ভিত্তি করে দেখা যাচ্ছে এপ্রিল মাস থেকে গত সাত ধরে মুদ্রাস্ফীতি দশের ঘরে রয়েছে। এবছর সেপ্টেম্বর মাসে এই দর ছিল ১০.৬৬% যেখানে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১.৩১%। প্রায় ১০ গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল গোল্ড ট্রেডিং নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার, আসছে SEBI এবং RBI মাস্টারপ্ল্যান!
advertisement
দ্রুত তেলের দাম বৃদ্ধি
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “২০২১ সালের অক্টোবর মাসের মুদ্রাস্ফীতির মূল কারণ হল তেল, খাদ্য পণ্য, পণ্য ও প্রাকৃতিক গ্যাস, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য প্রভৃতির মূল্যবৃদ্ধি।” গত এক বছরে এই সমস্ত পণ্যের দাম খুব দ্রুত গতিতে বেড়েছে এবং তারই প্রভাব মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেট্রোল ও ডিজেলের নতুন দাম জারি, দেখে নিন আপনার শহরে ১ লিটারের দাম....
গত মাসের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১১.৪১%
অক্টোবর মাসে উৎপাদিত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২.০৪% হয়েছে যা তার আগের মাসে ১১.৪১% ছিল। একই ভাবে, জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবর মাসে ৩৭.১৮% ছুঁয়েছে যেখানে সেপ্টেম্বর মাসে তা ২৪.৮১% ছিল। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দর হু-হু করে বাড়ছে। সমীক্ষাধীন মাসে অপরিশোধিত তেলের মূল্যস্ফীতি ৮০.৫৭% দাঁড়িয়েছে, সেপ্টেম্বরে মাসে এই মূল্যবৃদ্ধি ৭১.৮৬% ছিল।
খুচরো মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪.৪৮%
গত সপ্তাহে খুচরো মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হয় যেখানে দেখা যায় অন্যান্য সমস্ত পণ্যের ন্যায় এই ক্ষেত্রেও সূচক ওপরে উঠেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বেড়ে অক্টোবর মাসে ৪.৪% হয়। যদিও, এটি এখনও RBI দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশীয় শিল্পে জোর, কর্মসংস্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতের রফতানি ব্যবসা!
সরকারের বিবৃতি
সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর এই মূল্যবৃদ্ধির চাপ কতটা পড়ছে তা খুব সহজেই আন্দাজ করা যায়। মুদ্রাস্ফীতির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রালয় একটি বক্তব্যে জানিয়েছে গত বছরের তুলনায় এই বছর তেল, খাদ্য পণ্য, পণ্য ও প্রাকৃতিক গ্যাস, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য প্রভৃতির দাম দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি সূচকও বেড়ে গিয়েছে।
