দুধ উৎপাদন অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে
ডা. রঘুবংশী ব্যাখ্যা করেছেন যে, ঠান্ডায় পশুদের পাচনতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে দুধ উৎপাদন কমে যায়। এটি ঠিক করার জন্য পশুপালকদের প্রতিদিনের খাবারে ৫০ গ্রাম সৈন্ধব লবণ যোগ করা উচিত। সৈন্ধব লবণ হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পূরণ করে। এটি স্বাভাবিকভাবেই দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ডাক্তারের মতে, যে সব প্রাণী সাধারণত ৩-৪ লিটার দুধ উৎপাদন করে, তারা সৈন্ধব লবণ দিলে দুধ উৎপাদন ৬-৭ লিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।
advertisement
শীতকালে গুড় খাওয়ানো যেতে পারে এবং এই অন্যান্য বিষয়গুলিও গুরুত্বপূর্ণ
সৈন্ধব লবণের পাশাপাশি পশুদের তাদের খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম গুড় খাওয়ানো উচিত। গুড় শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে, ঠান্ডাতেও পশুদের সুস্থ রাখে। রাতে পশুদের কাছে আগুন জ্বালানো বা বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে, যা সরাসরি দুধ উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে।
খাবার খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে
পশুচিকিৎসক পশুর আবাসস্থলে ময়লা, আর্দ্রতা এবং জমে থাকা জল রাখতে না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। ময়লা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, যা শীতকালে আরও বেড়ে যায়। সংক্রমণের ফলে পশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এবং দুধ উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে। খাবার খাওয়ানোর সময় পোকামাকড় বা বিষাক্ত পদার্থ মুক্ত রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ শীতকালে নষ্ট খাবার দ্রুত রোগ ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা ঋতু কৃষকদের জন্য উপকারী হলেও, এটি পশুপালনের জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন সরাসরি পশুদের উপর প্রভাব ফেলে। এই ঋতুতে বর্ধিত আর্দ্রতা এবং ময়লা দুগ্ধজাত পশুদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ঠান্ডা ঋতু ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, এবং আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও দ্রুত হ্রাস পাবে। ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মানুষের যেমন উষ্ণ পোশাক এবং আশ্রয় প্রয়োজন, তেমনই দুগ্ধজাত পশুদেরও উষ্ণতা এবং একটি বদ্ধ, নিরাপদ আশ্রয় প্রয়োজন। পশুপালক যদি তাদের রুটিনে এই সহজ জিনিসগুলি এবং ঘরোয়া প্রতিকার অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে ঠান্ডাতেও পশুরা বালতি ভর্তি দুধ দিতে পারে এবং তাদের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
