২০২৩ সালের বাজেটে আয়করের উর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নতুন কর ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আয়কর স্ল্যাবে বেতনভোগী এবং প্রবীণ নাগরিকরা পুরনো কর ব্যবস্থা এবং নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যে সুবিধা মতো যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নেমে হবে লাভ-ই লাভ! রইল কিছু দুর্দান্ত ব্য়বসার আইডিয়া!
প্রতি বার বাজেটের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রব ওঠে, সরকারের ব্যক্তিগত আয়কর সম্পূর্ণ বাতিল করে পরোক্ষ কর বাড়ানো উচিত। যুক্তি দেওয়া হয় যে, যদি জনগণকে আয়কর নিয়ে চিন্তা করতে না-হয়, তা-হলে তাঁরা কর থেকে সংরক্ষিত অর্থ নির্দ্বিধায় ব্যয় করবে। এতে চাহিদা বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে ব্যয়ও। ফলে সরকার আরও পরোক্ষ কর পাবে। এই তত্ত্বকে 'লাফার কার্ভ'ও বলা হয়। এই হিসাবে, করের হার হ্রাসের ফলে মোট কর আদায় বৃদ্ধি পায়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও আয়কর তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু ভারতে কি কোনও দিন এমন সম্ভাবনা রয়েছে?
আরও পড়ুন: সরকারের নয়া স্কিম ‘মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট’-এ বিনিয়োগ করতে চাইছেন?
আয়কর ব্যবস্থা কি পুরোপুরি উঠে যাবে? এর জবাবে সরকার যা বলল:
সিএনবিসি আওয়াজকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা বলেছেন যে, আয়কর ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কথা এখনই ভাবছে না সরকার। কারণ সরকার আয়কর বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে সাধারণ মানুষকে কিছুটা সুরাহা দেওয়ার চেষ্টা করে। তা-ছাড়া ট্যাক্স থেকে সংগৃহীত অর্থ সাধারণ মানুষের জন্য নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়।
এই দেশগুলিতে নেই আয়কর ব্যবস্থা:
কুয়েত, বাহরাইনের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা অপরিশোধিত তেল রফতানি করে। আর এই সব দেশগুলি নাগরিকদের কাছ থেকে কোনও আয়কর নেয় না। বাহরাইন ও কুয়েত ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে উপসাগরীয় দেশ ওমানও। যারা ওমানের নাগরিক, তাদের আয়কর দিতে হয় না।