তবে বিশ্বে যাই ঘটুক না কেন বিনিয়োগ বন্ধ করা চলবে না। কারণ সম্পদ রক্ষা এবং বৃদ্ধি করার এটাই একমাত্র উপায়। তবে অদূর ভবিষ্যতে ভারতে মুদ্রাস্ফীতি মাথাব্যথা বাড়াতে পারে। তাই সেদিকটা মাথায় রেখে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে।
বর্তমানে ইক্যুইটি বাজার নিম্নমুখী। তাই স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ইক্যুইটিতে (Equities) ভারসাম্য বজায় রাখায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এই সময় যদি বিনিয়োগকারীর (Financial investment) হাতে ১০ লাখ টাকা থাকে এবং তিনি যদি তা বাজারে খাটাতে চান তাহলে স্বল্প মেয়াদে আরবিট্রেজ ফান্ড এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যাঙ্কিং স্টক বা ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন - গোবর থেকে ব্যাগ, চপ্পল বানিয়ে বছরে ৩৬ লাখ! জেনে নিন কীভাবে!
ভ্যালু স্টক (Value stocks ): এই মুহূর্তে ভ্যালু স্টকগুলির দাম কম। তাই বিনিয়োগকারীর উৎপাদন, অটোমোবাইল, রাসয়নিক ইত্যাদি সেক্টরগুলিতে ফোকাস করা উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে অচিরেই এই সেক্টরগুলি স্বমহিমায় ফিরে আসবে।
ইক্যুইটি (Equities): মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ার জন্য ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ সবচেয়ে ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘমেয়াদে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ রিটার্ন আশা করা হচ্ছে। যা ভারতের গড় মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ ৫ থেকে ৬ শতাংশের তুলনায় ঢের বেশি।
বন্ড (Bonds): ভ্যালু স্টকের পাশাপাশি বন্ডে বিনিয়োগও লাভজনক হবে। এ জন্য স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ যথাযথ। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটা ইতিবাচক রিটার্ন দেবে।
আরও পড়ুন - কোনও নথিপত্র ছাড়া হোম লোন পাওয়া সম্ভব? জেনে নিন বিশদে!
রিয়েল এস্টেট (Real Estate): মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়তে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ বরাবরই লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। কারণ সম্পত্তির দাম দীর্ঘমেয়াদে বাড়ে। ট্রাস্ট বা আরইআইটিএস হল বিনিয়োগকারীর জন্য রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে অ্যাক্সেস লাভ করার একটি সহজ উপায়। আর রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের জন্য কখনওই ভাগ্যের প্রয়োজন হয় না, যেটা লাগে সেটা হল পুঁজি।
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ (International Investments): মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে মুদ্রার মূল্য কমে। স্বাভাবিকভাবে বৈশ্বিক মুদ্রার তুলনায় দেশীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস পায়। এই পরিস্থিতিতে ফিডার ফান্ড, ফান্ড অফ ফান্ড বা অন্যান্য অফশোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ লাভজনক হয়। একইসঙ্গে পোর্টফোলিওতেও বৈচিত্র আসে।
সোনা (Sovereign Gold Bonds): ঐতিহাসিকভাবে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়ার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ছিল সোনা। কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে এখনও গোল্ড ইটিএফ বা গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে সোনায় ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা যেতে পারে।