আরও পড়ুন: সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিম সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি অবশ্যই জেনে নিন
আসলে কর্মী এবং কর্মীদের সংগঠন মনে করে যে, আয়করের নিয়ম বেতনভোগীদের অনুকূলে নয়। কারণ ব্যবসায়ী এবং কনসালটেন্সগুলি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খরচ দেখিয়ে এগজেম্পশন বা অব্যাহতি দাবি করে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বেতনভোগীদের কাছে এই সংক্রান্ত খুব কম বিকল্পই রয়েছে। এই অভিযোগ দূর করার জন্যই সরকার ২০১৮ সালের বাজেটে এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (Standard Deduction) লাগু করে। মেডিকেল এবং পরিবহণ ভাতার উপর কর সুবিধা সরিয়ে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন করা হয়েছিল। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ২ বছরে মাল্টিব্যাগার স্টক দিয়েছে ১৩ গুণ রিটার্ন! এখনও জারি উর্ধ্বগতি!
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন:
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল সেই টাকা, যা কর্মচারীর আয় থেকে সরাসরি কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়। এর পর অবশিষ্ট আয়ের উপরে ট্যাক্স স্ল্যাবের হিসাবে কর বসানো হয়। এর ফলে করের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। এ-ছাড়াও এই ধরনের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের ফলে অনেকেই ট্যাক্সের আওতার বাইরে বেরিয়ে আসে। এর ফলে তাঁকে আর কোনও রকম কর দিতে হয় না। বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা হল ৫০,০০০ টাকা। এর ফলে যাঁদের বেতন পুরো বছরে এর থেকেও কম, তাঁদের আয় পুরোটাই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের আওতায় চলে আসবে। উদাহরণের মাধ্যমে বুঝে নেওয়া যাক এই বিষয়টা। যাদের বেতন বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা, তাঁদের আয় থেকে ৫০,০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কাটার পরে ৪.৫০ লক্ষ টাকার উপরে তাঁদের কর কাটা হবে। এছাড়াও কেউ যদি এক বছরে বেতন হিসেবে ৪৮,০০০ টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর পুরো টাকাটাই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের আওতায় চলে আসবে।
আরও পড়ুন: নতুন রূপে বাজারে আসছে মারুতির সবচেয়ে সস্তা গাড়ি অল্টো K10
কারা পেতে পারেন স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লাভ?
যে-সব বেতনভোগী কর্মী এবং পেনশনভোগী নতুন ট্যাক্সের নিয়ম বাছাই করেননি, তাঁরাই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লাভ নিতে পারেন। কারণ নয়া ট্যাক্স নিয়মে কম টাকার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ফ্যামিলি পেনশনে এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পাওয়া যায় না। সুতরাং এর অর্থ এই হল যে, যদি কোনও কর্মীর মৃত্যুর পরে, তাঁর কোনও আত্মীয় পারিবারিক পেনশন নিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের মাধ্যমে কোনও প্রকার ছাড় বা সাহায্য পাবেন না।