যেহেতু বাজারের ওঠা-নামার উপরে শেয়ার বাজার নির্ভর করে, তাই এখানে বিনিয়োগ করার আগে এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু লম্বা সময়ের জন্য শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে অনেক বিনিয়োগকারী মোটা টাকা রিটার্ন পেয়েছেন। শেয়ার বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল - এডিআর (ADR)। কিন্তু, অনেকেই হয়তো জানেন না এই এডিআর সম্পর্কে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই এডিআর- এর সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনে রাতে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের থেকে চৌত্রিশ লক্ষ সাতাশ হাজার টাকা উদ্ধার করল কাস্টমস
এডিআর (ADR) হল আমেরিকান ডিপোজিটরি রিসিট। যদি কোনও বিদেশী কোম্পানি মার্কিন বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায়, তা-হলে তাকে এডিআর (ADR) ইস্যু করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি যেমন - টাটা মোটরস, ইনফোসিস, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এডিআর (ADR) রয়েছে। অর্থাৎ এই সকল কোম্পানি মার্কিন বাজারে তালিকাভুক্ত। অন্যদিকে, জিডিআর (GDR) হল গ্লোবাল ডিপোজিটরি রিসিট। একাধিক দেশে কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার জন্য জিডিআর ইস্যু করা হয়। এটিও শেয়ার বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ বিদেশের বাজারে নিজেদের কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার জন্য এই এডিআর (ADR) এবং জিডিআর (GDR) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে কী বলছেন গুড়িয়াহাটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ? চমকপ্রদ রিপোর্ট
এ-ছাড়াও রয়েছে আইডিআর (IDR)। এর অর্থ হল ইন্ডিয়ান ডিপোজিটরি রিসিট। যদি কোনও বিদেশি সংস্থা ভারতে তালিকাভুক্ত হতে চায়, তবে তাকে আইডিআর ইস্যু করতে হবে। অর্থাৎ বিদেশি কোম্পানিগুলিকে ভারতে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আইডিআর ইস্যু করতে হবে।
তহবিল সংগ্রহের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এডিআর ইস্যু করে কোম্পানিগুলি। যেমন - যদি কোনও ভারতীয় কোম্পানি এডিআর ইস্যু করতে চায়, তা হলে তাকে আমেরিকান ডিপোজিটরি ব্যাঙ্কে একই পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করতে হবে।
ডিপোজিটরি তাদের রিসিট ইস্যু করবে। যে বিনিয়োগকারীরা এডিআর ইস্যু করেছেন, তাদের ইস্যু সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে। ডিপোজিটরি রিসিটগুলি হস্তান্তরযোগ্য উপকরণ, অর্থাৎ সেগুলি যে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত রয়েছে সেখানে কেনা-বেচা করা যেতে পারে। এক জন এডিআর ধারণকারী ব্যক্তি ডিপোজিটরিকে তাঁদের অন্তর্নিহিত শেয়ারে রূপান্তর করতে বলতে পারেন এবং সেগুলি ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
