গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বছরে নির্দিষ্ট সময়ে তৈরি হয় রাখি। বিভিন্ন সুতো, পুতি, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের রাখি। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি জেলার একাধিক বাজারে বিক্রি হয় এই সমস্ত রাখি। সম্পূর্ণ ব্যবসায়ী কেন্দ্রিক বাড়ির মহিলারা তৈরি করেন এই রাখিগুলো। বেশ কিছু সময় তাদের সঙ্গ দেন পুরুষেরা। তার থেকে উপার্জিত রোজগারে সারা বছর আয় নির্বাহ হয় পরিবারে। রাখির মরশুম এলে বেশ কয়েক মাসের টানা পরিশ্রম থাকে তাদের। আর এর থেকেই মেলে রোজগার। স্বাভাবিকভাবে এই গ্রামের একাধিক মানুষ রাখির উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীল। প্রতিদিন হাজার হাজার রাখি তৈরি ও বিক্রি হয় বলে এই গ্রামের নাম রাখিগ্রাম।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের কুচাইপুর গ্রাম। রাখি বন্ধন উৎসবের আগে এই গ্রামে ঢুকলে দেখা যাবে বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের রাখি। বাড়ির সাংসারিক কাজ সামলে মহিলারা বসে পড়েছেন রাখি তৈরিতে। রাখি তৈরি, প্যাকেটিং সবই করছেন তারা। বাড়ি থেকে কখনও পাইকারি আবার কখনও খুচরো বিক্রি হচ্ছে এই রাখি। স্বাভাবিকভাবে রাখি বন্ধন উৎসবের আগেই ব্যস্ততা থাকে এই গ্রামে। মহাজন মারফত কাজ পান বহু মানুষ। লক্ষাধিক টাকা রোজগার হয় এই রাখি তৈরি করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিকভাবে মাত্র মাস দু’তিন মাসের জন্য গোটা একটা বছরের অপেক্ষা করতে হয় রাখি গ্রামের মানুষদের। বছরে এই নির্দিষ্ট সময়ে হয় উপার্জন। সারা বছরই অর্থনৈতিক রোজগার ও আদান প্রদান সামান্য কয়েক মাসেই। স্বাভাবিকভাবে গ্রামীণ মহিলাদের প্রতিভা এবং রাখি গ্রামের মানুষজনের ভাবনা চিন্তা, সৃজনশীলতা অবাক করে সকলকে।
রঞ্জন চন্দ