চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও উপায় নেই। একটি নয় একই সঙ্গে করতে হবে প্রায় তিনটি অপারেশন। আর তার জন্য প্রয়োজন হতে পারে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। দিন আনা দিন খাওয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি রিপন মণ্ডল পড়েন চরম সমস্যায়। দু’মাসের মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে এরপরই শুরু হয় এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে ছোটাছুটি। শহরের নানা হাসপাতাল ঘুরলেও, অপারেশনের খরচ শুনে রীতিমতো মাথায় হাত ওঠে তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতেই হাঁচি-কাশি-সর্দি-জ্বর? শরীর চাঙ্গা রাখতে কী কী করবেন? রইল ডাক্তারের টিপস
পরবর্তীতে, নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান প্রবীর সাহার দ্বারস্থ হয় মণ্ডল পরিবার। শিশুকন্যার এই বিরল সমস্যার কথা জেনেই তৎপর হন পৌর প্রধান। যোগাযোগ করা হয় এলাকার বিধায়ক তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। পরবর্তীতে, সরকারের তরফ থেকে শিশুসাথী প্রকল্পের অর্থ দিয়েই এই বিরল অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। শিশু দিবসের ঠিক পরের দিনই এই অস্ত্রোপ্রচারের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শারীরিক মিলনের ঠিক আগে ও পরে কি প্রস্রাব করা উচিত? জানুন চিকিৎসকের মত! ‘এই’ ভুলেই নষ্ট কত পরিবার
তবে সেক্ষেত্রে মণ্ডল পরিবারের থেকে জানা যায়, আপাতত একটি অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাই ছোট্ট মেয়ের শারীরিক কষ্টের কথা মাথায় রেখে বাবা-মা র আবেদন বারংবার ছোট্ট শিশুটির অস্ত্রোপচার না করে যদি একবারেই কোনও ভাবে সম্ভব হয় সম্পূর্ন অস্ত্রোপ্রচার করার তবে কিছুটা হলেও সুবিধা হয় তাঁদের। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন আরও অর্থের।
তবে তাঁদের আবেদনে সারা দিয়ে নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যেভাবে পাশে দাঁড়িয়ে শিশুসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সন্তানের শারীরিক সুস্থতার জন্য তৎপর হয়েছেন তাঁর জন্য মণ্ডল পরিবার কৃতজ্ঞ। এভাবেই দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে সরকার সাহায্য করুক এমনটাই চাইছেন রিপন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী দীপা মণ্ডল।
Rudra Narayan Roy