২০২০-২১ অর্থবর্ষে নতুন কর কাঠামো চালুর ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ইতিমধ্যে অনেক করদাতাই পুরনো কর কাঠামোর বদলে নতুন কর কাঠামো বেছে নিয়েছেন। এই ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় করতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে।
বর্তমানে নতুন কর কাঠামোয় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত। ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা আয়ের উপর ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লাখ আয়ের উপর ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লাখ আয়ের উপর ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লাখ আয়ের উপর ২০ শতাংশ, এবং ১৫ লাখের বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। তবে ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের কারণে ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : ২০২৫ সালে মহিলাদের জন্য আদর্শ এই ৫ স্কিম, রয়েছে বিপুল মুনাফার সুযোগ, জেনে নিন
জানা গিয়েছে, মৌলিক কর ছাড়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ করার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যান্য ট্যাক্স স্ল্যাবেও সংশোধন আনা হতে পারে। যেমন ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা আয়ের করদাতারা ৫ শতাংশের ট্যাক্স স্ল্যাবের আওতায় আসতে পারেন। ফলে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের করদাতারা জন্য এই ব্যবস্থা লাভজনক হতে চলেছে।
বার্ষিক ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা উপার্জনকারী ব্যক্তিদের উপর থেকে করের বোঝা কমানোই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য। বিশেষ চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে শহরাঞ্চলের করদাতারা স্বস্তি পান। কারণ গ্রামের তুলনায় শহরে মূল্যস্ফীতি বেশি। তাই মূলত শহুরে করদাতারাই মূল্যস্ফীতির যাঁতাকলে পড়েছেন। তাঁরাই আবার পুজিবাদি অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। সূত্র মারফত এমনটাই খবর। কর বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, প্রত্যেক ট্যাক্স স্ল্যাবের সীমা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ালে বোঝা কমবে। করদাতারাও হাত খুলে খরচ করতে উৎসাহ পাবেন।
আরও পড়ুন: ‘Har Ghar Lakhpati’ স্কিমে আরডি করছেন? ১ লাখ টাকা রিটার্ন পেতে প্রতি মাসে কত বিনিয়োগ করতে হবে দেখুন
ইওয়াই ইন্ডিয়া ট্যাক্স অ্যান্ড রেগুলেটরি সার্ভিসেস-এর পার্টনার সুধীর কাপাডিয়া ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “করদাতাদের অধিকাংশই শহরে বাস করেন। এখানে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের উপর যে চাপ পড়ছে, তা থেকে নিস্তার দিতে প্রত্যেক ট্যাক্স স্ল্যাবের সীমা ১ লাখ টাকা করে বাড়ানো উচিত।”
Get Latest News on ইউনিয়ন বাজেট ২০২৫, Union Budget 2025 Live