অ্যানুয়াল ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট: AF বা অ্যানুয়াল ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট হল এক অর্থবর্ষে সরকারের আয় এবং ব্যায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
বাজেট এস্টিমেট: প্রত্যাশিত ব্যয়ের রূপরেখা। বিভিন্ন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হবে, সেই প্রস্তাবই বাজেট এস্টিমেট।
ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বা ক্যাপেক্স: ক্যাপেক্স অর্থাৎ মূলধনী ব্যয়। এটা সেই অর্থ, যা সরকার রাস্তা, সেতু, হাসপাতাল বা অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করে, যাতে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যায়।
advertisement
ক্যাপিটাল রিসিট: এটা সরকারের প্রাপ্ত অর্থ। ঋণ, সম্পদ বিক্রি করে বা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ থেকে এই টাকা সরকারের ঘরে আসে।
সেস: সেস এক ধরণের শুল্ক। একে উপকরও বলা হয়। কারণ এটা অতিরিক্ত কর, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো নির্দিষ্ট খাতে ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়। এটি মোট করের উপর ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: থামছেই না শেয়ার বাজারের পতন, মিউচুয়াল ফান্ড SIP-তে বিনিয়োগ করা টাকাও কি ডুবে যাবে?
কনসোলিডেট ফান্ড: এই ফান্ডে সরকারের আয়, ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা টাকা জমা হয়। এখান থেকেই বেশিরভাগ সরকারি ব্যয় পরিচালিত হয়।
কন্টিজেন্সি ফান্ড: জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য এই ফান্ড তৈরি করা হয়েছে।
ডিরেক্ট ট্যাক্স: এই কর সরাসরি জনগণের কাছ থেকে নেওয়া হয়। যেমন আয়কর, কর্পোরেট কর।
ডাইভেস্টমেন্ট: যখন সরকার তার মালিকানাধীন কোম্পানি বা সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে, তাকে ডাইভেস্টমেন্ট বলে।
ইকোনমিক সার্ভে: বাজেট ঘোষণার আগে প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ | Union Budget 2025 Live Updates
ফাইন্যান্স বিল: ফাইন্যান্স বিল হল সরকারি প্রস্তাব। এতে কর সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন, নতুন কর চালু বা পুরোনো কর বজায় রাখা ইত্যাদি জানানো হয়।
ফিসক্যাল ডেফিসিট: সরকার যে টাকা আয় করে, তার চেয়ে বেশি খরচ করলে রাজস্ব ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য সাধারণত ঋণ নেয় সরকার। এটি দেশের জিডিপি-এর সঙ্গে তুলনা করে গণনা করা হয়।
ফিসক্যাল পলিসি: সরকারের আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ইনডায়রেক্ট ট্যাক্স: এই কর জনগণের আয়ের ওপর বসে না, বরং পণ্য ও পরিষেবার দামের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যেমন জিএসটি, ভ্যাট, কাস্টমস শুল্ক ইত্যাদি।
মুদ্রাস্ফীতি: যখন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়।
নিউ ট্যাক্স রিজিম: ২০২২ সাল থেকে নতুন কর কাঠামো চালু করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সাল থেকে এটাই মূল কর ব্যবস্থা, তবে পুরোনো কর ব্যবস্থাও বিকল্প হিসেবে চালু রয়েছে।
ওল্ড ট্যাক্স রিজিম: পুরনো কর ব্যবস্থা। এতে চারটি ট্যাক্স স্ল্যাব রয়েছে। ১০ লাখ টাকার বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
পাবলিক অ্যাকাউন্ট: এতে সরকার শুধু মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে, যেমন রাজ্য বা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংগৃহীত তহবিল সংরক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: বছরে ১৫ লাখ টাকা রোজগার? নতুন না কি পুরনো, কোন কর ব্যবস্থা আপনার জন্য লাভজনক দেখুন
রিবেট: করদাতাদের করের পরিমাণ কমানোর সুযোগ, যাতে তাদের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।
রেভেনিউ ডেফিসিট: যখন সরকারের আয় কম হয় কিন্তু খরচ বেশি হয়, তখন রেভেনিউ ডেফিসিট বা রাজস্ব ঘাটতি হয়।
রেভেনিউ এক্সপেন্ডিচার: সরকারের দৈনন্দিন ব্যয়। যেমন সরকারি কর্মীদের বেতন, ভাতা, ভর্তুকি এবং ঋণের সুদ দেওয়া।
রেভেনিউ রিসিট: সরকার যে অর্থ আয় করে, যেমন কর, জরিমানা ও পরিষেবা থেকে পাওয়া টাকা, সেটাই রাজস্ব আয়।
টিডিএস: কিছু নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির সময় বিক্রেতা ক্রেতার কাছ থেকে কর কেটে রাখে এবং পরে তা সরকারের কাছে জমা দেয়।
ট্যাক্স ডিডাকশন: এর মাধ্যমে করযোগ্য আয়ের পরিমাণ কমানো যায়, ফলে করের বোঝা কমে।
ট্যাক্স সারচার্জ: যাদের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ টাকার বেশি, তাদের ওপর অতিরিক্ত কর বসানো হয়। যেমন ৩০ শতাংশ করের ওপর ১০ শতাংশ সারচার্জ বসালে মোট করের হার দাঁড়াবে ৩৩ শতাংশ।