অবশ্য বিটকয়েন (Bitcoin) এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি অর্থমন্ত্রী। শুধু জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ সালের মধ্যেই সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) চালু করা হবে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সরকার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল মুদ্রা চালুর পরই বিটকয়েনের (Bitcoin) মতো অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রা নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) জগতেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Aadhaar card: আপনার আধার কার্ড বৈধ না কি ফেক? হঠাৎ করে বাতিল হয়ে যাবে না তো কার্ড
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
এটা হল ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)। ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) ছোঁয়া যায় না, দোকানে দেওয়া যায় না, শুধুমাত্র অনলাইন ওয়ালেটে রাখা যায়। ফিজিক্যাল মোডে নয়, ডিজিটাল কয়েন হিসেবে। গোটা বিশ্বেই ক্রিপ্টো জনপ্রিয়। কিন্তু তা কোনও ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতাধীন নয়।
ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে এর তফাত কোথায়?
বর্তমানে নানা ব্যবসায় লেনদেন হলেও ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির (Cryptocurrency) নগদ মুদ্রার সঙ্গে মিল নেই, এগুলি ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা সম্পদ। বেশিরভাগ দেশই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে (Cryptocurrency) মান্যতা দেয়নি। কিন্তু সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আওতায় তৈরি হবে। যা ভারত সরকারের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার সিলমোহর পাবে। অর্থাৎ সরকার দ্বারা অনুমোদিত। সহজ বাংলায় বলতে গেলে, এখন থেকে দু’ধরনের টাকা হবে। একটি ছাপা কাগজে। অন্যটি ডিজিটাল মাধ্যমে। দু’টি দিয়েই একই ধরনের কাজ করা যাবে।
আরও পড়ুন - Viral Video: ঘোড়ার পিঠ থেকে নাচতে নাচতে এ কী ধরণের নাগিন ডান্স, বিয়েবাড়ির ভাইরাল ভিডিও
ক্রিপ্টোর ভবিষ্যত কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন সময়ে বিটকয়েন-সহ একাধিক ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থের জোগান, কর ফাঁকির উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাই নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) আনতে চাইছে সরকার। এ থেকেই অন্যান্য ক্রিপ্টো সম্পর্কে সরকারের অভিপ্রায় স্পষ্ট। ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে এই ডিজিটাল মুদ্রারও যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। ফলে কোনও ত্রুটি থাকলে চলবে না। সাধারণ মানুষ এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)(Digital Currency) ব্যবহার করে সবই ধরনের অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন। আগামী দিনে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির মুদ্রা আন্তর্জাতিক বাজারের অনেকটা দখল করতে চলেছে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।