নিজের মতকরে ঘুরে দেখতে পারবেন রাজবাড়ির আনাচে-কানাচে। দেখতে পাবেন ঝাড়গ্রামে রাজাদের বিভিন্ন জয়ের কাহিনী। রাজবাড়ির সংগ্রহশালায় রয়েছে বিভিন্ন সময়ের ভাস্কর্য তাও আপনি দেখতে পাবেন এখানে।রাজবাড়ির মধ্যে রয়েছে কয়েকশো বছর পুরানো গাছগাছালি। যার মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বাস। রাজবাড়িতে থাকলে রাজকীয় পরিবেশের মধ্যেই পাখির ডাকে ভাঙবে আপনার ঘুম। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজনে পেয়ে যাবেন রাজকীয় খাবার। বড় কাঁসার থালায় ১০-১৫ টি বাটিতে নানা পদের রান্না রান্না নিয়ে হাজির হবে রাজবাড়ির রাধুনীরা। যে খাবার আপনার মন ছুঁয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: OPS vs NPS vs UPS: জেনে নিন কোন স্কিমে বেশি পেনশন পাবেন ?
কিভাবে পৌঁছবেন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি বা কিভাবেই আপনি করতে পারবেন অগ্রিম বুকিং ? মাত্র সহজ একটা উপায়। কলকাতা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে আপনি সোজা চলে আসুন ঝাড়গ্রাম। লোধাশুলি হয়ে ঝাড়গ্রাম শহর ঢোকার মুখেবা দিকে রয়েছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। অথবা হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে সোজা চলে আসুন ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে টোটো ধরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যান ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। আসার আগে আপনি অগ্রিম বুকিং যদি করতে চান তাহলে আপনাকে ফোনের মাধ্যমে অথবা ইমেলের মাধ্যমে বুকিং করে নিতে হবে। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির বুকিং এর ফোন নাম্বারটি হল ৬২৯৪০২৪৩১৯ / ৭৮১১৮৫৯১০১ । ইমেল আইডিটি হল Jhargrampalace@gmail.com ।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে এই সবজি থেকে মাত্র ৩৫ দিনেই হয়ে যাবেন মালামাল, তবে মাথায় রাখতে হবে জরুরি কিছু বিষয়
ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন,”১৯৮৪ সাল থেকে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিস্ট কর্পোরেশন ও রাজবাড়ির যৌথ উদ্যোগে অতিথিশালা ছিল। ২০১৭ সালে পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় এবং ঝাড়গ্রাম প্যালেস নামের হেরিটেজ হোটেল আমরা চালু করি। পর্যটকরা যারা এখানে এসে থেকে গেছেন তারা সকলেই জানিয়েছেন তারা যে ক’টা দিন ছিল প্রতিদিনই নিজেরাকে রাজা-মহারাজা মনে করতেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানের পরিবেশটা একেবারেই আলাদা। এখানে এসে না থাকলে তা অনুভব করতে পারবেন না”।
বুদ্ধদেব বেরা