কালচিনির ট্রলি লাইন এলাকায় রয়েছে রাজেশ চৌধুরীর দোকান। দু’বছর হল তিনি চায়ের দোকান করছেন। আগে অটো চালাতেন। চা বানানোর নেশা ছিল প্রথম থেকেই। অটোর ব্যবসায় লোকসানের মুখ দেখছিলেন।তারপরেই অটো ছেড়ে চায়ের দোকান শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বছর শেষ একদিনের ছুটিতে কোথায় যাবেন ভাবছেন? কলকাতা থেকে খুব কাছে, দেখে আসুন নবাবের মুক্ত চাষের এলাকা
advertisement
বিশেষ করে মালাই চা নাম করেছে তাঁর দোকানের। রাজেশ চৌধুরী স্পেশাল এই মালাই চায়ের দাম মাত্র দশ টাকা। চায়ের টানে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ। দুধ জাল দেওয়ার পর যে মালাই পাওয়া যায় সেটি জমিয়ে রেখে দুপুরবেলা থেকে তিনি শুরু করেন মালাই চা তৈরির কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার মাঠে বিকল্প পৌষ মেলা! কারণ জানলে অবাক হবেন
এই বিষয়ে চা বিক্রেতা রাজেশ চৌধুরী জানান, “আগে আমি অটো চালাতাম। তারপর লকডাউন চলে এল। অটো চলত না। আর কী করব।ভাবলাম চা ভাল তৈরি করতে পাড়ি। যখন তখন চা তৈরি করে ছোট ব্যবসা শুরু করি। যারা আসেন তাঁদের শুভকামনাতেই স্থায়ী দোকান করতে পেরেছি।”
এই শীতে আরও ভিড় জমে এই দোকানে। স্থানীয় মানুষেরা তো রয়েছেন, পর্যটকেরা এই রাস্তা ধরে চলাফেরা করলে রাজেশ চৌধুরীর দোকানে দাঁড়িয়ে মালাই চা খেয়ে যান। ভিড় জমে গেলে রাজেশ চৌধুরীকে এই কাজে সাহায্য করেন বাড়ির মহিলারা। চায়ে নতুনত্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
Annanya Dey