সুজুকির তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা নির্মানে ৭৬ বিলিয়ন এবং ব্যাটারি প্ল্যান্টে ৩১ বিলিয়ন টাকা ঢালা হবে। ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত তেলের দাম এবং ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ বিবেচনা করে, সুজুকি মোটরের এই কৌশল শুধুমাত্র পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, ভারতীয় গাড়ির বাজারের জন্যও উপকারী প্রমাণিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুন-গাড়ি ক্রেতাদের জন্য সুখবর! বাড়িতে বসে পাবেন কার লোন, ধামাকাদার অফার এসবিআই-এর!
বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমবে: কোম্পানির এই পদক্ষেপের ফলে দেশীয় বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। মারুতি সুজুকি এখনও পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেনি। গুজরাতের কারখানার মাধ্যমেই ইভি-র দুনিয়ায় পা রাখছে তারা। মারুতি সুজুকির মতো কোম্পানির প্রবেশের ফলে বৈদ্যুতিন গাড়ির দাম আরও সস্তা হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। কারণ গুজরাতে কারখানা হওয়ায় গাড়ির মূলত ক্রেতা হবেন এদেশের মানুষ। দামের ব্যাপারে এই দেশের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার কথা সুজুকি মাথায় রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুজুকি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ভারতে (গুজরাতে) বিদ্যুৎচালিত গাড়ি ও ব্যাটারি উৎপাদনের লক্ষ্যে ১০৪.৪ বিলিয়ন রুপি বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আত্মনির্ভর ভারতের অংশীদার হতে আমরা আগামীতেও লগ্নি অব্যাহত রাখব’। এই প্রসঙ্গে সুজুকির ডিরেক্টর এবং প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকির বক্তব্য, ‘ছোট গাড়িকে কার্বন নিউট্রাল বা কার্বন নিঃসরণহীন করাই আমাদের লক্ষ্য’।
আরও পড়ুন-অভিষেকের সব অপ্রাপ্তি যেন পরের জন্মে মিটে যায়: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
রিসাইক্লিং ইউনিটও স্থাপন করা হবে: সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের আরেকটি কোম্পানি হল মারুতি সুজুকি টয়োটসু ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে যানবাহন পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইউনিট নির্মাণে ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে তারা। ২০১৯ সালের নভেম্বরের আগেই মারুতি সুজুকি এবং টয়োটা গ্রুপ যৌথ উদ্যোগ উত্তর প্রদেশের নয়ডায় এই কারখানা স্থাপনের ঘোষণা করে। সেখানে বাতিল হওয়া গাড়ির যন্ত্রাংশ পুনর্ব্যাবহারের কারখানা গড়া হবে। প্রসঙ্গত, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তার ব্যাটারি ছাড়াও চার্জিং স্টেশন, সৌরশক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, নগরোন্নয়ন, প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে ভারত ও জাপান।