মিউচুয়াল ফান্ডের সুবিধা:
বিনিয়োগের পোর্টফোলিওকে নিজে পরিচালনা না-করে লগ্নিকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, কারণ এই ক্ষেত্রে এক জন পেশাদার ম্যানেজার এই বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনা করে থাকেন। ব্যক্তিগত স্টকের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ডে অনেক কম ঝুঁকি থাকে। আর এটি কম টাকায় বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি একাধিক জায়গায় বিনিয়োগ করার সুবিধা প্রদান করে।
advertisement
আরও পড়ুন- অ্যাকটিভ না প্যাসিভ! জানেন, কোন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি লাভজনক
প্রত্যেক মিউচুয়াল ফান্ডে এক জন ম্যানেজার থাকেন, যিনি তহবিলকে পরিচালনা করেন। ফান্ড ম্যানেজাররা সাধারণত বাজার পরিস্থিতি বিচার করে নতুন বিনিয়োগ করে বা পুরনো বিনিয়োগ তুলে নেন। মিউচুয়াল ফান্ডের বিভিন্ন ধরন থাকে, যা লার্জ ক্যাপ, মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। কিছু মিউচুয়াল ফান্ড শুধুমাত্র ইক্যুইটি মার্কেটেই বিনিয়োগ করে, যার ফলে ঝুঁকিও বেশি থাকে।
মিউচুয়াল ফান্ড কি বিনিয়োগের ভালো বিকল্প?
যে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা নিজেদের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে চাইছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত বিকল্প। একটি কোম্পানি বা স্টকে সমস্ত টাকা বিনিয়োগ না-করে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে স্টক একাধিক এবং ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করা যায়। এর ফলে পোর্টফোলিওর ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।
আরও পড়ুন- "আরজেডি মন্ত্রীরা কোনও নতুন গাড়ি কিনবেন না:" একগুচ্ছ নির্দেশ তেজস্বী যাদবের
মিউচুয়াল ফান্ডের খারাপ দিকগুলি কী কী?
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ফান্ড ম্যানেজারের (Fund Managers) কাছে থাকে। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর মতামত দেওয়ার কোনও জায়গা থাকে না। লগ্নিকারীকে ফান্ড ম্যানেজারের সাফল্য বিচার করে ফান্ড বেছে নিতে হয়। এ-ছাড়া, ম্যানেজমেন্ট ফি হিসেবেও অতিরিক্ত টাকা প্রদান করা হয়, যা অনেক ক্ষেত্রেই ব্রোকারেজ কোম্পানির ফি-এর থেকে কম হতে পারে।
মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ কি নিরাপদ?
অন্যান্য সিকিউরিটিজ-এর মতো মিউচুয়াল ফান্ডেও ঝুঁকি রয়েছে। যদিও মিউচুয়াল ফান্ডের লক্ষ্যই হল বিনিয়োগের ঝুঁকি কমানো। বিভিন্ন দিকে বিনিয়োগ করে লোকসানের ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য বিনিয়োগকারীরা এই ফান্ডগুলিতে বিনিয়োগ করে থাকেন।