TRENDING:

Investor Status Change: মাইনর থেকে বিনিয়োগকারীর স্টেটাস বদলে মেজর করার ধাপগুলি কী কী?

Last Updated:

মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) দীর্ঘমেয়াদেই সম্পদ তৈরি করতে সাহায্য করে। আর আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে, সঞ্চয় করার থেকে ঢের ভালো উপায় হল-- বিনিয়োগ করা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বৃক্ষ রোপণের বিষয়ে একটা চমৎকার চিনা প্রবাদ আছে। তাতে বলা হয় যে, “বৃক্ষ রোপণ করার সব চেয়ে ভালো সময় ছিল কুড়ি বছর আগে। আর তার পরে বৃক্ষ রোপণের ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো সময় হল, এখন।” অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে, আগে যদি গাছ লাগানো না-ও হয়ে থাকে, তা হলে এখন থেকেই গাছ লাগানো শুরু করতে হবে। আর মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এই প্রবাদটি সমান ভাবে প্রযোজ্য। অর্থাৎ যত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করা যায়, ততই ভালো। কারণ মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) দীর্ঘমেয়াদেই সম্পদ তৈরি করতে সাহায্য করে। আর আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে, সঞ্চয় করার থেকে ঢের ভালো উপায় হল-- বিনিয়োগ করা।
advertisement

আরও পড়ুন: কার লোনের উপর টপ-আপ লোন কী ভাবে পাওয়া যাবে?

১৮ বছরের নীচে অপ্রাপ্তবয়স্ক যে-কেউ তার পিতা-মাতা বা আইনি অভিভাবকের সাহায্য নিয়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। ১৮ বছর বয়স হলে, অর্থাৎ সাবালকত্ব অর্জন করলে তখন বিনিয়োগকারীর স্টেটাস পরিবর্তন করে (Investor Status Change) মাইনর (Minor) থেকে মেজর (Major) করা হয়। এ ক্ষেত্রে খুবই সহজ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। 

advertisement

আরও পড়ুন: গাড়ি কেনার জন্য আপনি কী লোন পাবেন ? জেনে নিন আগে....

তবে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। ১৮ বছরের নীচে কেউ যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চায়, তা হলে অবশ্যই তার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যার প্রতিনিধিত্ব করবে তার পিতামাতা বা আইনি অভিভাবক। এ ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক বিনিয়োগকারীর মিউচুয়াল ফান্ড ফোলিওতে জয়েন্ট হোল্ডিং-এর অনুমোদন নেই। আর সেই সঙ্গে মাইনর স্টেটাসের বিনিয়োগকারী কী জন্য বিনিয়োগ করছে, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উচ্চশিক্ষার জন্য ফান্ডিং, যা পূরণ করার লক্ষ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

advertisement

আরও পড়ুন: এলআইসির এই সুপারহিট পলিসিতে মাত্র ১৩০ টাকা বিনিয়োগ করলেই পাবেন ₹২৭ লক্ষ

যে হেতু কত সময় ধরে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতেই রিটার্নের একটা হার নির্দিষ্ট হয়, তাই অল্প বয়স থেকেই বিনিয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে বিনিয়োগকারী যে সময় থেকে আয় করা শুরু করবে, সেই সময়টাই তার জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে প্রবেশ করার আদর্শ সময়। ধরা যাক, সেই আয়ের থেকে একটা অংশ সঞ্চয় করে তা এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারী তার সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করছেন। ফলে এই রকম সুশৃঙ্খল বিনিয়োগ পদ্ধতির জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে বিশেষ সুবিধাও নিতে পারেন বিনিয়োগকারী। তবে যে মিউচুয়াল ফান্ডগুলির ঝুঁকির স্তর বিনিয়োগকারীর ঝুঁকির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অর্থাৎ যে ধরনের ঝুঁকি নেওয়ার মতো ক্ষমতা এবং ইচ্ছা বিনিয়োগকারীর রয়েছে, সেই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডেই বিনিয়োগ করা উচিত।

advertisement

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়ে। আর আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের লক্ষ্যগুলিও বড় হতে থাকে। তাই সেই লক্ষ্য বা চাহিদাগুলি পূরণের জন্য এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেটা বাড়ানোর দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই অল্প বয়স হলেও এখনই বিনিয়োগ শুরু করে দেওয়া উচিত, যাতে সময় বৃদ্ধির সঙ্গে উচ্চ রিটার্ন পাওয়া যায়। বয়স বাড়ার জন্য অপেক্ষা করলে খামোখাই কয়েকটা বছর নষ্ট হবে। বিনিয়োগের যাত্রাপথে যা কখনওই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

advertisement

এটা অনেকটা ক্রিকেট খেলার মতো। দীর্ঘমেয়াদে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকে এক জন ভালো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। প্রতিটি ভালো ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ের একটি নির্দিষ্ট স্টাইল থাকে। কিন্তু এক জন ভালো ব্যাটসম্যান যদি বহু বছর ধরে খেলে যেতে থাকেন, তা হলে তিনি অনেক রান সংগ্রহ করতে পারেন। এক জন ভালো ব্যাটসম্যানের রেকর্ড দেখলে বোঝা যাবে যে, প্রতিটি ব্যাটসম্যানকে কিছু ভালো এবং কিছু খারাপ পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবেই তার গড় রেকর্ড দুর্দান্ত হবে। একই ভাবে, একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ড কিছু ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে প্রায়ই এমন কিছু কারণ থাকে, যা ফান্ড ম্যানেজারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু এক জন বিনিয়োগকারী যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য এই ফান্ডগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন, তা হলে তিনি উপকৃত হবেন। অল্প বয়সে বিনিয়োগ করলে তবেই দীর্ঘ সময়ের সুবিধে লাভ করা যায়।

আরও পড়ুন: ব্যালেন্স না থাকলেও জনধন অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে পারবেন ১০ হাজার টাকা

যাই হোক, এ বার বিনিয়োগকারীর স্টেটাস মাইনর থেকে মেজর করার পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক। মাইনর বিনিয়োগকারী যখন ১৮ বছর পূর্ণ করবে অর্থাৎ সাবালকত্ব অর্জন করবে, তখন পিতা-মাতা বা আইনি অভিভাবকদের প্রথম কর্তব্য হল-- অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের স্টেটাস পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানানো। না-হলে ওই অ্যাকাউন্টে ভবিষ্যতের সমস্ত লেনদেন (SIP/SWP/STP) কিন্তু স্থগিত হয়ে যাবে। সাধারণত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অগ্রিম জমা দেওয়ার জন্য অভিভাবক এবং নাবালককে একটি নোটিস পাঠায় মিউচুয়াল ফান্ড। এর পর অ্যাকাউন্টের স্টেটাস মাইনর থেকে মেজরে পরিবর্তন করার জন্য নাবালকের স্বাক্ষর ব্যাঙ্ক আধিকারিককে দিয়ে অ্যাটেস্টেড করিয়ে আবেদন করতে পারবেন অভিভাবকেরা। আবেদনের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ফর্ম এবং নাবালকের কেওয়াইসি-ও জমা দিতে হবে।

কর সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় এ বার একমাত্র অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে (মেজর) বহন করতে হবে। ছেলে-মেয়ে নাবালক থাকাকালীন তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত আয় এবং উপার্জন পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের অধীনেই জমা হয়। সেই সঙ্গে পিতামাতা বা আইনি অভিভাবককেই প্রযোজ্য করও প্রদান করতে হয়। যে বছর নাবালক সাবালকত্ব অর্জন করবেন, তখন থেকে তিনি এক জন পৃথক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং নির্ধারিত করও তাঁকেই জমা দিতে হবে।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Investor Status Change: মাইনর থেকে বিনিয়োগকারীর স্টেটাস বদলে মেজর করার ধাপগুলি কী কী?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল