আরও পড়ুন: শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে টাকা, বাড়িতে বসেই চেক করে নিন Status
কীভাবে চালু করা যাবে এই ব্যবসা? খুব সহজ। গাড়ি ধোওয়ার একটি মেশিন কিনতে হবে। এই মেশিনের দাম বাজারে ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু। পাশাপাশি, কিনতে হবে একটি ৩০ লিটারের ভ্যাকিউম ক্লিনার৷ যার দাম পড়বে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ওয়াশিং আইটেম অর্থাৎ শ্যাম্পু, জল, গ্লাভস, টায়ার পালিশ এবং ড্যাশ বোর্ড পালিশ কিনতে হবে। সব মিলিয়ে এর জন্য ১৭০০ টাকা মতো খরচ হতে পারে।
advertisement
এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে: তবে গাড়ি ওয়াশিং সেন্টার খুলতে প্রথমে একটা ভালো জায়গা বাছতে হবে। এটা বাজারের কাছে বা গাড়ি সংক্রান্ত জিনিসপত্র বিক্রি হয়, এমন জায়গায় হলে সবচেয়ে ভালো। কারণ সেখানে মানুষের আনাগোনা বেশি হবে। তবে দোকান নেওয়ার সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে, যেন গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থাকে। তবে দোকানের জন্য নিজের জায়গা থাকলে সবচেয়ে ভালো। অনেক খরচা বেঁচে যাবে। গাড়ি সারাইয়ের জন্য অর্ধেকটা ভাড়া দিয়ে বাকি অর্ধেক জায়গায় গাড়ি ধোওয়ার কাজ শুরু করা যায়।
আরও পড়ুন: এই শহরগুলিতে ১০০০ টাকার বেশি দাম হয়ে গিয়েছে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের !
লাভ কীভাবে হবে? অতিমারি পরবর্তী সময়ে গাড়ি অনেক নাগরিকের কাছেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হয়ে উঠেছে৷ এছাড়া গাড়ি স্টাইল স্টেটমেন্ট তো বটেই। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, সবাই গাড়ি কিনলেও এই জেট যুগে গাড়ি পরিষ্কার করার সময় অনেকের হাতেই নেই। তাঁদের দরকার এমন কাউকে যারা গাড়ি ধোওয়ার ব্যবসা চালান। এমনিতে গাড়ি ধোওয়ার খরচ নির্ভর করে শহরের উপর। ছোট শহরগুলিতে অল্টো, ওয়াগনার, কুইড-এর মতো ছোট গাড়ি ধুতে ১৫০ টাকা চার্জ করা হয়। কিন্তু বড় শহরেই তা বেড়ে হয়ে যায় ২৫০ টাকা। সুইফট ডিজায়ার, হুন্ডাই ভার্নার মতো বড় গাড়ি ধুতে ছোট শহরে ৩৫০ টাকা চার্জ নেয়। বড় শহরে তা প্রায় ৪৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: সস্তা হল সোনা-রুপো, এখুনি চেক করে নিন ১০ গ্রামের লেটেস্ট দাম
এখন যদি সর্বনিম্ন ২৫০ টাকার চার্জে ১০টা করেও গাড়ি ধোওয়া যায়, সেক্ষেত্রে রোজগার দাঁড়াবে ২৫০০ টাকা প্রতিদিন হিসাবে। মাসিক রোজগার তাহলে প্রায় লাখ টাকার সমান৷ অর্থাৎ এই ব্যবসায় ব্যবসায়িক খরচের দশগুণ বেশি লাভ করা সম্ভব।