কিন্তু যাঁরা আরও একটু বেশি সমৃদ্ধি আকাঙ্ক্ষা করেন, তাঁদের বিনিয়োগে মন দেওয়া দরকার। যাতে সঞ্চিত অর্থ বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু একজন উপার্জনকারী ব্যক্তি ঠিক কখন ভাবতে পারেন বিনিয়োগের কথা? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। নিজের সমস্ত প্রয়োজন পূরণ করে, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে তবে তো বিনিয়োগ। সেক্ষেত্রে তিনটি প্রশ্ন করতে হবে নিজেকে—
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে টাকা রাখা ঠিক হচ্ছে তো? জেনে নিন কতটা টাকা রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে!
১. আপৎকালীন সঞ্চয়ের পরিমাণ কত?
জীবন বড় অনিশ্চিত। যে কোনও সময় চাকরি হারানোর ভয় কাজ করে মানুষের মধ্যে। ব্যবসার ক্ষতিও খুবই সাধারণ বিষয়। তাছাড়া রয়েছে যে কোনও রকমের দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার আশঙ্কা। এসব সময়ের জন্য একটা তহবিল তৈরি করে রাখা খুব জরুরি। যাতে জীবনের গতি না স্তব্ধ হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে আপৎকালীন অর্থ সঞ্চয় করতে হবে প্রথমেই।
ক. কোনও দম্পতির যদি দু’জনের উপার্জনই সুনিশ্চিত হয়, তবে ৩ মাসের খরচ আপৎকালীন সঞ্চয় হিসেবে তুলে রাখাই যথেষ্ট।
খ. কিন্তু যদি একজন উপার্জনশীল না হন বা দু’জনেরই উপার্জনের তেমন নিশ্চয়তা না থাকে তবে এই আপৎকালীন সঞ্চয় হওয়া উচিত ৬ মাসের মোট খরচের সমতুল।
গ. একক উপার্জনশীল ব্যক্তির ক্ষেত্রে সময়টা একবছর ধরেই এগোনো উচিত।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য বড় খবর, চেক পেমেন্টের নিয়মে বড়সড় বদল
২. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ২-৫ বছরের জন্য ফেলে রাখার মতো সামর্থ্য কি রয়েছে?
বাজারগত বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন পেতে গেলে কিছু বছর অপেক্ষা তো করতেই হবে। এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকৃত টাকায় হাত দেওয়া যাবে না কোনও ভাবেই। ফলে আগে থেকেই ভাবনা-চিন্তা করে নিতে হবে ওই টাকা কোনও ভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রয়োজন হতে পারে কি না। বা ওই পরিমাণ অর্থ ছাড়াই নিজের জীবন কাটিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে কি না!
৩. বাজারে উত্থান-পতন মানিয়ে নেওয়া কি সম্ভব?
বিনিয়োগে ঝুঁকি তো থাকেই। বাজারের উত্থান-পতনের সঙ্গে তা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। ফলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকৃত অর্থেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এসময়ের মধ্যে লাভ বা লোকসান যা-ই হোক না কেন, তা বহন করে নিজের জীবন অতিবাহিত করা সম্ভব কি না সেটাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজন।
উপরের যে কোনও একটি প্রশ্নের উত্তর যদি ‘না’ হয় তবে এই মুহূর্তে বিনিয়োগের কথা না ভাবাই ভাল। বরং সঞ্চয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।