উত্তর দিনাজপুর জেলার মনোহরপুরের কৃষক অবেন দেবশর্মা রেশম চাষ করেই এখন আর্থিক ভাবে স্বনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছেন। রেশম চাষ অন্য চাষের থেকে লাভজনক ও বছরে পাঁচ বার করা যায় এই কারণে এই চাষে ঝুঁকছেন অবেন বাবু। অবেন বাবু জানান, প্রতিদিন বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে কারও বাড়িতে সামান্য কিছু জায়গা থাকলেই সেখানে তুঁত গাছ ও পলু পোকা চাষ করলেই কেল্লাফতে।
advertisement
অবেন বাবু বলেন, বাড়িতে নিজস্ব জমিতে তুঁত গাছ লাগালে সরকারি সেরিকালচার দফতর থেকেই সামান্য কিছু টাকায় পলু পোকা দেওয়া হয়।। জমিতে সেই তুঁত গাছ ও পলু পোকা পালন করেই আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বর্ষায় বাড়িতে বিছের উৎপাত? কীভাবে বিছে তাড়াবেন? রইল অব্যর্থ টিপস
জমিতে তুঁত গাছ লাগানোর পরে সেই তুঁতের পাতা খেয়ে পোকা বড় হয়। সাধারণত গরমে ১৮-২০ দিন ও শীতকালে ৩০-৩২ দিনে পলু পোকা থেকে রেশম গুটি তৈরি হয়। সেই গুটি সরকারি সেরিকালচার দফতরে বিক্রি করলেই ভাল টাকা উপার্জন করা যায়।
রেশম চাষি অবেন দেবশর্মা আরও বলেন, আমি প্রায় প্রথম থেকেই এই চাষ করছি। আমার আড়াই বিঘা জমিতে তুঁত গাছ চাষ করি। এবার প্রায় আট কুইন্ট্যাল রেশমগুটি উৎপাদন হয়েছে। যার দাম লক্ষ লক্ষ টাকা। আমি এই করেই সংসার চালাই। বাড়ি ঘর তৈরি করেছি।
এছাড়া রেশম চাষিদের সরকার থেকে পাকা ঘর নির্মাণে সাহায্য করা হয়। তার সঙ্গে চাষের জন্য সবরকম সাহায্য রেশম অফিস থেকে করা হয়। তাই আর দেরি না করে বাড়িতে সামান্য কিছু জায়গা থাকলেই এবার সেখানে রেশম চাষ করেই আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠুন আপনিও।
পিয়া গুপ্তা