এর আগে কার্ড টোকেনাইজেশনের শেষ তারিখ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। কিন্তু আরবিআই এবার আর সে পথে হাঁটেনি। এই নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর টি রবি শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা চাই না বাস্তবায়নের অসুবিধার কারণে গ্রাহকদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করা হোক’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ইতিমধ্যে ৩৫ কোটি টোকেন তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে টোকেনের মাধ্যমে’। তবে মাথায় রাখতে হবে, কার্ড টোকেনাইজেশন বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা না করালে প্রতিবার লেনদেন করার সময় সমস্ত কার্ডের বিবরণ পুনরায় লিখতে হবে।
advertisement
টোকেনাইজেশন কী: একটি অনন্য বিকল্প কোড দিয়ে কার্ডের বিবরণ প্রতিস্থাপন করাকে টোকেনাইজেশন বলা হয়। এই কোড বরাদ্দ হয়ে গেলে এর নম্বর, সিভিভি এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের মতো তথ্য লিখতে হবে না। এছাড়া যে ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা হচ্ছে তার ডেটা ফাঁস হয়ে গেলেও গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। কারণ গ্রাহকের ডেটা ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা নেই।
আরও পড়ুন- চালের পায়েসে অরুচি? নবমীতে এবার মুখমিষ্টি শুচি হোক লুচির পায়েস দিয়ে
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা মণ্ডপ, কেঁদে ফেললেন বিধায়ক!
কীভাবে টোকেনাইজেশন কাজ করবে: প্রথমত, কার্ড ধারককে টোকেনাইজেশনের জন্য টোকেন অনুরোধকারী কি-অ্যাপে (যে কোনও অনলাইন শপিং অ্যাপ যেখানে গ্রাহক কার্ড সংরক্ষণ করতে চান) আবেদন করতে হবে। এরপরে সেই অ্যাপটি কার্ড নেটওয়ার্ক এবং অ্যাপ্লিকেশন পাঠাবে। যেখান থেকে সেই কার্ডের জন্য একটি টোকেন জারি করা হবে। এতে কার্ড প্রদানকারীর (ব্যাঙ্ক, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান) সম্মতি থাকবে। অনন্য টোকেন সার্ভারে সংরক্ষিত হবে। গ্রাহক যখন কোনও অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে লেনদেন করবেন, এটি ভিসা, মাস্টারকার্ড বা অন্য কোনও পেমেন্ট গেটওয়েতে বার্তা পাঠাবে। এরপরে, এই পেমেন্ট গেটওয়েগুলি কার্ডের টোকেন চাইবে এবং এই তথ্যটি ব্যাঙ্কে পাঠাবে এবং লেনদেন সম্পন্ন হবে। টোকেনাইজেশনের জন্য কোন চার্জ লাগবে না।
এর থেকে গ্রাহকরা কী পাবেন: এটাই হবে পেমেন্টের নিরাপদ মোড। গ্রাহকের আসল কার্ডের বিশদ বিরবণ শেয়ার হচ্ছে না। এই ডেটা এবং টোকেন শুধুমাত্র অনুমোদিত কার্ড নেটওয়ার্কে সংরক্ষণ করা হবে। এতে গ্রাহকের প্যান এবং অন্যান্য কার্ডের সংরক্ষণও করা যাবে না।