ফলে এসবিআই এবং এলআইসি-তে টাকা লগ্নি করা বিনিয়োগকারীদের মনেও ভয় জাঁকিয়ে বসছে। এই ঘটনা কি তাঁদের বিনিয়োগেও প্রভাব ফেলবে? তবে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন যে, আমানতকারী বা বিনিয়োগকারীদের এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের সুবিধার্থে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা চালু করল এলআইসি! মিলবে ১১টি সুবিধা!
advertisement
এই বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান দীনেশ কুমার খারা। সিএনবিসি টিভি ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা আদানি গ্রুপকে শেয়ারের বিপরীতে কোনও ঋণ দিইনি। তাই শেয়ার বাজারের অস্থিরতা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।”
আরও পড়ুন: অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নেমে হবে লাভ-ই লাভ! রইল কিছু দুর্দান্ত ব্য়বসার আইডিয়া!
এসবিআই চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন যে, তাঁদের মোট ঋণের মধ্যে আদানি গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ মাত্র ০.৮৮ শতাংশ। তাঁর বক্তব্য, “যদি আমরা টাকার পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলি, তাহলে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার এক্সপোজার রয়েছে।” সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন, “এসবিআই-এর সঙ্গে অতিরিক্ত এসএলআর রয়েছে, যা আমাদের যে কোনও ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়।”
অন্যদিকে পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ইডি জিএস বিন্দ্রাও বলেছেন, আমানতকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের কাছে এটা সুযোগ বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, ভবিষ্যতে এসবিআই-এর থেকে ভাল ফল মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই রেকর্ড পতন চলছে আদানি গ্রুপের শেয়ারের। তবে আজ বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। টানা এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত পতনের মধ্যে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির মার্কেট ক্যাপ ১০ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুনাফা ৮,৪৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৪,২১০ কোটি টাকা হয়েছে। এই সময়ে ব্যাঙ্কের মুনাফা বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। বাজারের মুনাফা ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা বেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
