ট্রাই-এর রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে জিও-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫০০০ সাবস্ক্রাইবার। যার ফলে শুধু কলকাতায় জিও-র সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১.০৩ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর পরেই রয়েছে এয়ারটেল। চলতি বছর মার্চে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৮৬৫৪ সাবস্ক্রাইবার। অন্য দিকে আবার ভোডাফোন আইডিয়া হারিয়েছে প্রায় ৩৪৬৯৩ সাবস্ক্রাইবার।
আরও পড়ুন– রোগা হওয়াটাই যেন এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে! এই তিন সহজ উপায়ে তুড়ি মেরে কমান ওজন
advertisement
২০২৩ সালের মে মাসের মাক্যুরি রিসার্চ রিপোর্ট কলকাতা মেট্রো সার্কেলে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই ২০১৮ সাল থেকে ভোডাফোন আইডিয়া (ভিআই)-র ক্রমহ্রাসমান বাজার শেয়ারকে পুঁজিতে পরিণত করেছে। ভিআই-এর হারানো শেয়ারের অধিকাংশটাই সংগ্রহ করে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। অন্য দিকে অবশ্য এয়ারটেল এর থেকে কোনও রকম উল্লেখ্য মুনাফা কামাতে পারেনি।
কলকাতা মেট্রো সার্কেলে বর্তমানে প্রায় ২৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৩ শতাংশের মার্কেট শেয়ার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিলায়েন্স জিও। সেই হিসেবে এয়ারটেল এবং ভিআই-উভয়ের মার্কেট শেয়ারের পরিমাণ ২৪ শতাংশ। আর ৯ শতাংশ নিয়ে পিছিয়ে রয়েছে বিএসএনএল। ভিজিটর লোকেশন রেজিস্টার (ভিএলআর)-এর উপরের ডেটা বলছে, সক্রিয় সাবস্ক্রাইবারের এই পরিমাণের কারণে জিও-র আধিপত্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। রিলায়েন্স জিও-র সাবস্ক্রাইবারের পরিমাণ ৯৮.৪৮ শতাংশ। সেখানে এয়ারটেল এবং ভিআই-এর সাবস্ক্রাইবারের পরিমাণ যথাক্রমে ৯৬.৪৭ শতাংশ এবং ৮৮.৪৭ শতাংশ। জিও-র কাস্টমার মার্কেট শেয়ার ছুঁয়েছে ৪৬.৮ শতাংশ।
কলকাতায় জিও-র উন্নতি কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে অন্যতম হল উচ্চতর নেটওয়ার্কের গুণমান, সাশ্রয়ী প্ল্যান এবং বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা। এই শহরে জিও-ই একমাত্র, যারা ট্রু ৫জি স্ট্যান্ডঅ্যালোন নেটওয়ার্ক কভারেজ দিতে সক্ষম। এর পাশাপাশি জিও দারুণ সব প্ল্যান অফারও করছে। আবার হোম ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে নতুন আকর্ষণীয় প্ল্যানে এনেছে জিও ফাইবার। এই প্ল্যান শুরু হচ্ছে মাত্র ১৯৮ টাকা থেকে।