কিছু দিন আগে, মার্কিন ফেড ব্যাঙ্কের সুদের হার ০.৭৫ শতাংশ বাড়ানোর পরে আরবিআইও তার রেপো রেট ০.৫০ শতাংশ বাড়িয় দেয়। স্বাভাবিকভাবেই ইএমআই এবং ঋণের খরচ বাড়ে। সুদের হার বাড়ায় মানুষকেও বেশি টাকা দিতে হয়। কিন্তু তারপরেও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে ডিসেম্বরের মধ্যে আবারও রেপো রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন: সিম চাষে মারকাটারি লাভ, মুখে হাসি কৃষকদের, লাভের অঙ্ক শুনলে ভিড়মি খাবেন
advertisement
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ অতিরিক্ত সভা ডেকেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ওই সভায় উপস্থিত থাকবে মুদ্রা নীতি কমিটিও। বৈঠকে মূল্যস্ফীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। ‘মুদ্রাস্ফীতির উপর আরবিআইয়ের নজর রেখেছে’। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার আরবিআইয়ের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে।
আরও পড়ুন: পাম তেলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! কেমন প্রভাব পড়তে চলেছে ?
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ সুদের হার বাড়িয়েছে। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০৮ সালের পর থেকে সুদের হার এবারই এত বাড়ল। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দা চলছে। থমথমে পরিবেশ। অন্য দিকে, এশিয়ার বাজারে মুদ্রাস্ফীতি। ত্রাহি রব আমজনতার। ইউএস ফেডারেলের সিদ্ধান্ত অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরবিআই আবার রেপো রেট বাড়ালে ইএমআই এবং সুদের হার আবার বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে ঋণের জন্য জনগণকে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। ইএমআই-এর জন্যও ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত চার্জ নিতে পারে। সত্যিই এমনটা হলে, ঋণ নেওয়ার প্রবণতা যে কমবে সন্দেহ নেই। বাড়ি, গাড়ি বা ব্যক্তিগত কারণে ঋণ নেওয়াও নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আজকের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিকে সকলের নজর থাকবে।
